দিনাজপুরের খানসামায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ‘বয়স্ক ভাতা’র টাকা ‘নগদ’ একাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একাউন্ট হ্যাক করে কে বা কাহারা হতদরিদ্রদের এসব টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের মাঝে হা-হুতাশ বাড়ছে।
এদিকে নগদ প্রতারনার হাত থেকে সাধারণ জনগনকে রক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সচেতনতামূলক মাইকিং এর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ রানা। তিনি বলেন, হ্যাকাররা নানান রকমভাবে বয়স্ক মানুষদেরকে বুঝিয়ে তাদের নগদ একাউন্টের ওটিপি অথবা পিন দিয়ে নতুনভাবে পাসওয়ার্ড সংযোজন করে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা জনসচেতনতার জন্য  উপজেলা জুড়ে মাইকিং করেছি।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক খানসামা উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে যে সমস্ত লোক বয়স্ক ভাতা পেয়ে আসছেন তাদের মধ্যে কিছু লোকের মাসে ৫শ টাকা হারে গত তিন মাসের ১৫শ টাকা করে প্রায় ২০/২৫ জন লোকের বয়স্ক ভাতার টাকা মোবাইল থেকে উধাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা হলেন উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউপির টংগুয়া গ্রামের মৃতঃ  মফিজ উদ্দিনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন, মৃতঃ সুরেন্দ্র নাথ এর পুত্র যতীন্দ্র নাথ রায়, মৃতঃ ঝুমুর আলীর পুত্র তসলিম উদ্দিন,মৃতঃ তরণী কান্তর পুত্র অতুল চন্দ্র রায়, মৃতঃ মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ রহিমা বেওয়া, খামারবিষ্ণুগঞ্জ গ্রামের মৃতঃ দলিল উদ্দিনের পুত্র তোফাজ্জল হোসেন, মৃতঃ আব্দুল বাকির স্ত্রী  মোছাঃ হাসিনা বেওয়া এছাড়াও আরোও  অনেকেই বয়স্ক ভাতার টাকা মোবাইল থেকে উধাও হয়ে গেছে বলে জানা যায়।

জানা যায়, একটি চক্র সম্প্রতি ভুক্তভোগীদের ফোন করে ধোকাঁ দিয়ে বোকা বানিয়ে তাদের মোবাইলের পিন কোড চুরি করে ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। বয়স্করা গত তিন মাসের ১৫শ’ টাকা না পাওয়ায় অভাব ও কষ্টে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলেন, উন্নত তথ্য প্রযুক্তির যুগে হ্যাকারদের চিহ্নিত করা কি খুব কঠিন কাজ? তাহলে কেনো টাকা উদ্ধার হচ্ছে না। এই হ্যাকিংয়ের সঙ্গে কারা জড়িত? তারতো এলিয়েন নয়,এই পৃথিবীরই মানুষ।  প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের দেয়া ভাতার টাকা এত সহজে হজম করবে প্রতারক চক্র ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে! তাদের রহস্য এখনো জানা যায়নি। এদিকে টাকার শোকে হতদরিদ্ররা আহাজারি করলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।