মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার না পেয়ে পঞ্চগড় সদরে ভুক্তভোগী এক বাবার আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি এলাকায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে। আত্মহত্যাকারী গজেন চন্দ্র বর্মণ (৫০) ওই এলাকার মৃত নেভুরাম বর্মণের ছেলে।
নিহতের পরিবারের দাবি, আত্মহত্যার জন্য মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ দায়ী। চেয়ারম্যানের দায়িত্বহীনতার কারণে মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার পেয়ে ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গজেন বর্মণের কলেজপড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন ওই এলাকার পলাশ চন্দ্র বর্মণ (৩০) নামে এক যুবক।
এ ঘটনার বিচার দাবি করলে বিষয়টি বাড়াবাড়ি না করার পরামর্শ দিয়ে সুরাহার আশ্বাস দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ।
একাধিকবার চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়েও কোনো বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেন ভুক্তভোগী তরুণীর পিতা গজেন চন্দ্র বর্মণ (৫০)। পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগের কোনো বিষয়ে আমরা জানি না।
তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।