দেশের বেশিরভাগ ভোক্তা সরু ও মাঝারি মানের চাল খায়। বাজারে সরু চালের চাহিদা বেশি থাকলেও দাম কমানোর কোনো সিস্টেম নাই। তবে উৎপাদিত সরু চাল যদি কারো কাছে মজুত থাকে সেটা যাতে বাজারে আসে, সেজন্য মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সবধরনের চাল রফতানিতে নিষেধ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে মিলগেটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের বিভিন্ন ধরনের আইনানুযায়ী যেসব অভিযান রয়েছে সেগুলো আরও কঠোর করা হয়েছে। যাতে উৎপাদিত সরু চাল বাজারে চলে আসে। যদি চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকে তাহলে কোনো কিছুই কাজে আসবে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। যদি আমরা দেখি কোনোভাবেই বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল থাকছে না, তখন প্রতি বছরের মতো এবারও ভারত থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে।

খাদ্যসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা বা সম্মতি কোনোটিই দেননি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি দিয়েছি, সেটা তিনি দেখবেন। তারপর হয়তো প্রয়োজন হলে দেবেন। দেশে যদি মজুত থাকে তাহলে আমদানি করে বৈদেশিক মুদ্রা নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। তাই বলা যায় দেশে সরু চালের চাহিদার ভিত্তিতে প্রয়োজন হলে আমদানি করা হবে।

 

কলমকথা/সাথী