জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সোনা চোরাচালান কমেনি। সোনা চোরাচালান বন্ধ করা বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য নয়, লেনদেন মাধ্যম হিসেবেও সোনা চোরাচালান করা হয়। সোনা চোরাচালানে ভাটা পড়েনি কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া দরকার।
গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ১৩তম ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) লটারি ড্র অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সম্পূর্ণভাবে সোনা চোরাচালান বন্ধ করা যাবে কি না, তা জানি না। নানাভাবে চোরাচালান হয়, এটিই বাস্তবতা। সারা বিশ্বেই এটি হয়। তার পরও আমরা চেষ্টা করছি।
ইএফডি প্রসঙ্গে মুনিম বলেন, ভ্যাট যন্ত্র ইএফডি নিয়ে অসন্তোষ আছে। ভ্যাটের মূল্য অন্তর্ভুক্ত করে পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে হবে। পৃথকভাবে ভ্যাট আদায়ের কথা বলা হলে গ্রাহক নিরুৎসাহিত হয়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারি চাকরিজীবী, কাস্টমস কর্মকর্তাদের অনেকেই ভ্যাট দিতে চান না। ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) মাধ্যমে ভ্যাট সংগ্রহে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার পরিচয়ের জন্য ভেনাস জুয়েলার্স লিমিটেডকে দায়িত্বশীল ভ্যাট সংগ্রহকারী হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে। সম্মাননা নেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার গঙ্গাচরণ মালাকার ও বিধান মালাকার। ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু দোকানে ইএফডি বসানো শুরু হয়। পাঁচটি কমিশনারেটে (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম ও চট্টগ্রাম) এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৫৯১টি ইএফডি যন্ত্র বসানো হয়েছে।
রাজধানীতে ৩০০ ভরি সোনা চুরি : রাজধানীর ভাসানটেক এলাকায় দুটি দোকানের তালা ভেঙে ৩০০ ভরি সোনা চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় এক নিরাপত্তারক্ষী ও ঝাড়ুদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে খোয়া যাওয়া সোনা উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ভাসানটেকের কচুক্ষেতের রজনীগন্ধা টাওয়ারে দুটি সোনার দোকানে তালা ভেঙে প্রায় ৩০০ ভরি সোনা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
দোকানের মালিক সকালে দোকান খুলতে এসে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
চুরির ঘটনায় ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলের সিটিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজে দেখা গেছে, তিনজন সেখানে তালা কেটে প্রবেশ করছেন। চুরির ঘটনায় ওই মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড আলমকে সহায়তা করতেও দেখা যায়। সেই গার্ড এখন পলাতক। ঘটনাটি রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে ঘটেছে। পুরো চুরির কাজ শেষ করে চোরচক্র পালিয়ে যায় সকাল ৬টার দিকে। এসব চিত্র সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়েছে।
ভুক্তভোগী দোকান মালিক আবুল কালাম ভুঁইয়া জানান, আমার দুটি দোকানের তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করেছিল দুষ্কৃতিকারীরা। দোকানের দুটি লকার ভেঙে প্রায় ৩০০ ভরি সোনা ও ডায়মন্ডের কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। চোরেরা ড্রয়ারের তালা ভেঙে প্রায় ৫ লাখ টাকাও নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনের এডিসি মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সোনা চুরির ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজে এই ঘটনায় চারজনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই আমরা খোয়া যাওয়া সোনা উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।