চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবরে কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭২ শতাংশ বেড়েছে। সেই সঙ্গে গত অক্টোবর মাসে মান্থলি বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন হয়েছে ৬০৫ কোটি টাকা। এই প্রথমবারের মতো ৬০০ কোটি ছাড়িয়েছে কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন।
সেপ্টেম্বর মাসে এ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৮৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে ব্যাংকের গ্রাহকেরা কার্ডের মাধ্যমে ৩৯০৮ কোটি টাকা সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করেছে। আগের বছরের একই সময়ে তারা খরচ করেছিল ১৪৩৭ কোটি টাকা।
সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খরচ ২৪৭১ কোটি টাকা বাড়িয়েছেন গ্রাহকেরা। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা গেছে, কার্ডে ডলার খরচ করার ক্ষেত্রে ১০৬-১০৭ টাকা রেটে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে।
সরবরাহ সঙ্কটের মুখে মার্কিন ডলারের দাম প্রথমবারের মতো জুলাই মাসে ১০০ টাকায় পৌঁছে। এরপর ১০ আগস্ট কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম কার্ব রেকর্ড ১২০ টাকায় উঠে যায়। সেসময় নগদ ডলার না পাওয়ায় অনেককেই বিপাকে পড়তে হয়েছিল। এসব কারণে অনেকেই ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড বা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত হয়েছিলেন।
এই প্রসঙ্গে ড. আহসান এইচ মনসুর একটি গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার কারণে অনেক বিধিনিষেধ থাকায় গতবছর বাইরে ভ্রমণ অনেক কম হয়েছে। চলতি বছরে বিধিনিষেধ অনেক কমে আসায় লোকজন বাইরে যাওয়া বাড়িয়েছে। এছাড়া কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্টেও সবাই অভ্যস্ত হচ্ছে।
এসব কারণে খরচ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, কার্ডের মাধ্যমে বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার খরচ করা যায়। ডুয়াল কারেন্সির কার্ডগুলো বিদেশে হোটেল বুকিং এবং দেশ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনাকাটার অনুমতি দেয়। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৩ দশমিক ২০ কোটি ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডধারী ছিল।
এর মধ্যে প্রায় ২ দশমিক ৯২ কোটি ডেবিট কার্ড এবং মাত্র ২০ দশমিক ৫৯ লাখ ছিল ক্রেডিট কার্ড। কার্ডে লেনদেনের বেশিরভাগই হয়েছে ডেবিটের মাধ্যমে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।