পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার যে সুযোগ রাখা হয়েছে, সেটি ছাড়াও অন্যান্য সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারকে চাঙা করবে বলে বিশ্বাস করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থপাচার নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে মন্ত্রী আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৭ শতাংশ কর দিয়ে দেশে টাকা ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেয়ার কথা বলেছেন। এই টাকা আনলে কেউ উৎস নিয়ে প্রশ্ন করবে না- এমন একটি বিধান করবেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘পাচার করা টাকা দেশে ফেরত আসলে পুঁজিবাজার চাঙা হবে। একই সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে।’

গত বৃহস্পতিবার আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশের পর টানা দিন কর্মদিবসে ‍পুঁজিবাজারে দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রবণতা। টানা তিন দিনে সূচক পড়েছে ১১৮ পয়েন্ট। এবারের বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে খুব বেশি কথা বলা নেই। কেবল কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হয়েছে, এমন কোম্পানির করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা, মোবাইল ও তামাক কোম্পানির কর আগের হারেই রাখা হয়েছে।

লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার, কালোটাকা নামে পরিচয় পাওয়া অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ বহালসহ যেসব দাবি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল, তার একটিও বিবেচনায় রাখেননি মন্ত্রী। তবে অর্থমন্ত্রী মনে করেন এবারের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য অনেক কিছু দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হলে পুঁজিবাজারে তার প্রভাব পড়বে এবং বাজারে চাঙাভাব বিরাজ করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্থনীতি ভালোভাবে চলছে। প্রবৃদ্ধিও ভালো হচ্ছে। সারা বিশ্বে তুলনায় আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হার শক্তিশালী অবস্থানে। কাজেই, পুঁজিবাজার ভালোভাবে চলবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। ‘আমি প্রত্যাশা করি, আগামীতে পুঁজিবাজার আরও ভালো হবে এবং ভালোভাবে চলবে।’

পুঁজিবাজারে গত সেপ্টেম্বর থেকে থেমে থেমে যে দরপতন চলছে, তাকে বাজারের স্বাভাবিক চিত্র বলেও মনে করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘পুঁজিবাজার একবার উঠবে আরেকবার নামবে- এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। সে নিয়মেই দেশের পুঁজিবাজার চলছে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নীতিগত সিদ্ধান্ত হলে তখন সাংবাদিকদের জানানো হবে।