বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চায়ন (রিজার্ভ) থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ। এ ঋণ ফেরত দেওয়ার দ্বিতীয় দফায় আরও ছয় মাস সময় বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড।
২০২১ সালে এ ঋণ নেয় শ্রীলঙ্কা। চলতি মাসের মার্চে তা পরিশোধ করার কথা ছিল। দেশটির এখনো ঋণ ফেরত দেয়ার অবস্থা না হওয়ায় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলো।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় বোর্ডের পরিচালক, ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। সভার একাধিক কর্মকর্তা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম দফা ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ৫ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করে শ্রীলঙ্কাকে। দ্বিতীয় দফায় ৩০ অক্টোবর ছাড় করে ১০ কোটি ডলার। আর একই বছরের নভেম্বর মাসে দেওয়া হয় আরও ৫ কোটি ডলার। এ ঋণের গ্যারান্টার রয়েছে দেশটির সরকার। তিন মাস মেয়াদী কারেন্সি সোয়াপ হলেও চুক্তিতে এক বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
এক্ষেত্রে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেটের (লাইবর) সঙ্গে দেড় শতাংশ সুদ পাবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে দেয়া ঋণ টাকার অংকে এক হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। যে অর্থ যেদিন ছাড় হয়েছে, ওই দিন থেকে মেয়াদ হিসাব হবে।
ফলে বিদ্যমান চুক্তির আওতায় গত বছরের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ঋণ ফেরতে ব্যর্থ হওয়ায় চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যেও ঋণের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সময় বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।