যশোরের বাজারে আবারও বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। এর বাইরে চাল, আটা, মুরগি, মসলা এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে, কমেছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ। কমেছে ডিমের দামও। জ্বালানি তেলের দাম কমলে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম কমবে বলছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে ক্রেতা অসন্তোষ বেড়েই চলেছে।

কিছুদিন দাম কমায় মানুষ খানিকটা স্বস্তি পেলেও ফের বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। গত সপ্তাহেও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৮৫ টাকা কেজিতে। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়। বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯২ থেকে ২০০ টাকা লিটারে। আমদানি করা পণ্য মসলা ও তেলের দাম নির্ভর করছে ডলারের ওপর-জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ডলারের দাম কমলে মসলার দাম কমবে বলে জানান মুদি ব্যবসায়ী অনিমেষ সুর। মুদি দোকানি রফিকুল ইসলাম রাজু বলেন, তার মতো যারা আগের দামে সয়াবিন তেল কিনেছেন, তারা আগের দামেই বিক্রি করছেন। যারা নতুন সয়াবিন এনেছেন তারা নতুন দামে বিক্রি করছেন।

কমেনি চালের দাম। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায় কেজিতে। আঠাশ ও কাজললতা ৬০ থেকে ৬২, বাসমতি ৭২ থেকে ৭৮, মিনিকেট ৬২ থেকে ৭২ ও নাজিরশাইল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় বাজারের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, আমদানি বাড়লে চালের দাম কমবে। কমেনি আটার দামও। প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। প্যাকেট আটা ৫৮ টাকা কেজি। চিনি ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। মসুর ডাল ৯৮ থেকে ১৩৫। মুগ ডাল ১১৫ টাকা। বুটের ডাল ৬৫ থেকে ৭০ এবং ছোলার ডাল ৮০ টাকা। কোরবানির ঈদের আগ থেকে বাড়তে থাকা মসলার দামও কমেনি। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়। দারুচিনি ৪৪০ টাকা। লবঙ্গ ১২০০ থেকে  ১৪০০ টাকা। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। কমেনি আদার দামও। এ সপ্তাহেও বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। তবে ইন্ডিয়ান আদার দাম কম। বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০ থেকে ১০০টাকা কেজিতে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। রসুনের দাম ৭০ থেকে ১৬০ টাকা।

KKHC 2
কলম কথা হেলথ্ কেয়ার


খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে ডিমে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালিতে।
কোয়েল পাখির ডিম ১২ টাকা। কমেছে কাঁচামরিচের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ টাকায়। কচুরমুখি ৪০-৫০ টাকা। লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া ও কাঁচকলা ৪০ টাকা। চাল কুমড়া ও পটল ৩০টাকা। করলা ৪০টাকা। উচ্ছে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

২৪ ঘন্টা বাংলা খবরে ‘কলম কথা’ আপনার সাথেই।

খায়রুল বাশার নামে এক ক্রেতা বলেন, একটা দুটো পণ্যের দাম কমে কী হবে। অন্য সব পণ্যতো গরিবের ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। আরেক ক্রেতা শারমীন সুলতানা বলেন,

যশোরে কমেছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ! বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম

যশোরের বাজারে আবারও বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। এর বাইরে চাল, আটা, মুরগি, মসলা এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে, কমেছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ। কমেছে ডিমের দামও। জ্বালানি তেলের দাম কমলে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম কমবে বলছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে ক্রেতা অসন্তোষ বেড়েই চলেছে।

কিছুদিন দাম কমায় মানুষ খানিকটা স্বস্তি পেলেও ফের বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। গত সপ্তাহেও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৮৫ টাকা কেজিতে। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়। বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯২ থেকে ২০০ টাকা লিটারে। আমদানি করা পণ্য মসলা ও তেলের দাম নির্ভর করছে ডলারের ওপর-জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ডলারের দাম কমলে মসলার দাম কমবে বলে জানান মুদি ব্যবসায়ী অনিমেষ সুর। মুদি দোকানি রফিকুল ইসলাম রাজু বলেন, তার মতো যারা আগের দামে সয়াবিন তেল কিনেছেন, তারা আগের দামেই বিক্রি করছেন। যারা নতুন সয়াবিন এনেছেন তারা নতুন দামে বিক্রি করছেন।

কমেনি চালের দাম। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায় কেজিতে। আঠাশ ও কাজললতা ৬০ থেকে ৬২, বাসমতি ৭২ থেকে ৭৮, মিনিকেট ৬২ থেকে ৭২ ও নাজিরশাইল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় বাজারের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, আমদানি বাড়লে চালের দাম কমবে। কমেনি আটার দামও। প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। প্যাকেট আটা ৫৮ টাকা কেজি। চিনি ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। মসুর ডাল ৯৮ থেকে ১৩৫। মুগ ডাল ১১৫ টাকা। বুটের ডাল ৬৫ থেকে ৭০ এবং ছোলার ডাল ৮০ টাকা। কোরবানির ঈদের আগ থেকে বাড়তে থাকা মসলার দামও কমেনি। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়। দারুচিনি ৪৪০ টাকা। লবঙ্গ ১২০০ থেকে  ১৪০০ টাকা। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। কমেনি আদার দামও। এ সপ্তাহেও বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। তবে ইন্ডিয়ান আদার দাম কম। বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০ থেকে ১০০টাকা কেজিতে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। রসুনের দাম ৭০ থেকে ১৬০ টাকা।
খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে ডিমে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালিতে।
কোয়েল পাখির ডিম ১২ টাকা। কমেছে কাঁচামরিচের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ টাকায়। কচুরমুখি ৪০-৫০ টাকা। লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া ও কাঁচকলা ৪০ টাকা। চাল কুমড়া ও পটল ৩০টাকা। করলা ৪০টাকা। উচ্ছে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খায়রুল বাশার নামে এক ক্রেতা বলেন, একটা দুটো পণ্যের দাম কমে কী হবে। অন্য সব পণ্যতো গরিবের ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। আরেক ক্রেতা শারমীন সুলতানা বলেন, দ্রব্যমূল্যর দাম দিনকে দিন বাড়ছে। কিন্তু আমাদের আয় তো আর বাড়ছে না। যশোরের বাজারে এখনো সরবরাহ সংকট থাকায় কমেনি ইলিশ মাছের দাম। শুক্রবার প্রতি কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৪৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১৮০০ টাকা কেজিতে। গরুর মাংস ৬৫০ ও খাসির মাংস বিক্রি হয় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। 

যশোরের বাজারে এখনো সরবরাহ সংকট থাকায় কমেনি ইলিশ মাছের দাম। শুক্রবার প্রতি কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৪৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১৮০০ টাকা কেজিতে। গরুর মাংস ৬৫০ ও খাসির মাংস বিক্রি হয় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।