দিনাজপুরের হিলিতে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শুকনো মরিচের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা কমেছে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি শুকনো মরিচ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বর্তমানে দাম কমে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। দেশের বাজারে কাঁচামরিচের উৎপাদন ভাল হওয়াতে কমছে শুকনো মরিচের দাম। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। হিলি বাজারে শুকনো মরিচ কিনতে আসা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে যেমন কাঁচামরিচের দাম ডবল সেঞ্চুরি পার করেছিল, তেমনি তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৪০০ টাকায় উঠেছিল শুকনো মরিচ।
বর্তমানে শুকনো মরিচের দাম কমতেক শুরু করেছে। হিলি বাজারের শুকনো মরিচ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘কিছু দিন আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র তাপদাহের কারণে কাঁচা মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ২০০ টাকায় ছাড়াই। দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলেই বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। এর ফলে শুকনো মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়।
কয়েক দিন ধরে আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন বেড়েছে। এতে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা এখন কাঁচা মরিচ বিক্রি কমিয়ে শুকনো মরিচ উৎপাদন বাড়িয়েছেন। এতে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় শুকনো মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।