বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফিতের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছে বলে খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বল্প, মধ্য ও উচ্চ আয়ের সব দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতির আঘাত আসতে পারে। এর মধ্যে ৪৫টি দেশের ২০ কোটি ৫১ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগবে এবং ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। সোমালিয়ার উপকূলবর্তী তিনটি অঞ্চলে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবল খাদ্য সংকটের কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সে তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার প্রায় সব দেশে বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলো। এর মধ্যে লেবাননে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৭২ শতাংশ, জিম্বাবুয়েতে ৬৮ শতাংশ, শ্রীলংকায় ৩০ শতাংশ, ইরানে ২৯ শতাংশ, হাঙ্গেরিতে ১৮ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এছাড়া কলম্বিয়া, জিবুতি ও রুয়ান্ডায় ১৪ শতাংশ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে।
বুরকিনা ফাসোতে ১৩ শতাংশ, কোস্টারিকায় ১০ শতাংশ, বুরুন্ডিতে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ, ইথিওপিয়ায় ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ, গাম্বিয়ায় ১৪ শতাংশ, মালাউইতে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ, মোজাম্বিকে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ, সোমালিয়ায় ১৭ শতাংশ, উগান্ডায় সাড়ে ১৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় সাড়ে ৭ শতাংশ, বাংলাদেশে ৮ দশমিক ২ শতাংশ, কেনিয়ায় সাড়ে ১৫ শতাংশ খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।