পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আমদানি ও দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি ভোজ্যতেলের দামে কয়েক মাস ধরে লাগাম টানা যাচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার মূল্য নির্ধারণ করা হলেও পণ্যটির দাম বেড়েই চলছে। এছাড়া বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে অ্যাংকর ডাল। রাজধানীর নয়াবাজার, কাওরান বাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এবং খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ওই তিন পণ্যের দাম বাড়ার চিত্র সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার মূল্যতালিকায় লক্ষ করা গেছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি কেজি অ্যাংকর ডাল সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন সাত দিনের ব্যবধানে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল এক লিটার সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ দিন প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১২৬-১২৭ টাকা, যা সাতদিন আগে ছিল ১২৩-১২৪ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩৫ টাকা।
দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে নয়াবাজারের মুদি বিক্রেতা মো, তুহিন বলেন, গত বছর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারে দফায় দফায় মিল পর্যায় থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। তবে কয়েকদিন আগে কিছুটা কমলেও আবারও বাড়তে শুরু করেছে। মিল পর্যায় আবার বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে বেশি দাম দিয়ে এনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা, যা সাতদিন আগে ছিল ৪০ টাকা। পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫ টাকা।
দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কাওরান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. হাসেম বলেন, ভারতের থেকে পেঁয়াজ আসা কমার অজুহাতে পাইকাররা আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজও বাড়তি দরে বিক্রি করছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে অ্যাংকর ডাল ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি পাইজাম চাল ২ টাকা কমে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা কেজিতে ২ টাকা কমে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা ময়দা ২ টাকা কমে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে আলু ২ টাকা কমে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।