বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুরে মৌসুমী ফল হিসেবে তরমুজের বেশ জনপ্রিয়তা রেয়েছে। আবার সেই মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ এখন ৪৫/৫০টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা সাধারণেরা অভিযোগ করে বলেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করেই তাদের পছন্দ মত দাম হাকিয়েছেন।
মৌসুমী ফল তরমুজ বের হওয়ার পর থেকে ১ম রমজান থেকে ১৩ রমজান পর্যন্ত গতকাল তরমুজ ব্যবসায়ীরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে আসছিলো। কিন্তু আজ হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা ৪৫/৫০টাকা প্রতি কেজি দরে দাম হাকিয়ে তরমুজ বিক্রি করছেন। এতে করে অনেকের সাথে এবং ক্রেতা বিক্রেতার সাথে দাম নিয়ে রীতিমত ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, পৌর শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে, অবসর মোড়,বাসষ্ট্যান্ড,রমুক্তিযোদ্ধা হোটেলের সামনে এবং লাইনপাড় বেশ কিছু দোকানদারা তারা ৪৫/৫০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছে।
তরমুজ কিনতে আসা দিনমজুর মোকলেছ আলী বলেন, আমি সারাদিন কাজ করে ৩শ টাকা পাই উপার্জন করি। এই রোজগারে টাকায় চাল, ডাল, মাছ, তরকারি কিনলে আমার কাছে আর টাকা থাকেনা। তারপর ১টি তরমুজ ওজন ৫/৬ কেজি তার দাম আবার ২৫০ হতে ৩০০ টাকা। সারাদিন যা আয় করছি তা দিয়ে যদি তরমুজ কিনি তাহলে আমার সংসার চলবে কেমন করে। তাই আমার পক্ষে তরমুজ কেনা সম্ভব না।
তরমুজ কিনতে আসা আরেকজন ক্রেতা অটোচালক মানিক জানান, সারাদিন গাড়ী চালিয়ে ৪শ টাকা আয় করি, আর লোকজন না থাকায় আয় ও কিছুটা কম হচ্ছে। বেলা শেষে যা আয় করি কোন রকম বউ বাচ্চা পরিবার পরিজনদের নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে আছি। আমার এই রোজগারে তরমুজ কেনার সাধ্য কোথায়।
বাজারের কয়েকজন খুচরা তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, বড় ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাইকারী বাজার হতে শ’ হিসেবে কিনে তা আবার আমাদের কাছে কেজিতে বিক্রি করে। আমরাও তখন কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বাজার মনিটরিং করলে কেজি কাহিনী উন্মোচন হবে বলে তারা মনে করছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।