ভোজ্যতেলের দাম কমলেও দোকানে দোকানে ঘুরেও পাওয়া যাচ্ছে না তেল। দোকানিরা বলছে নতুন দামে নির্ধারিত তেল বাজারে সরবরাহ হয়নি। গত রবিবার (১৭ জুলাই) নির্ধারণ করা এই দাম পরদিন থেকেই বাজারে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ঘোষণা করলেও এখনও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল।
বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় গত ৫দিন আগে খুচরা পর্যায়ে এক লিটারের বোতলের দাম ১৪ টাকা কমায় সরকার। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। আজ রবিবার (২৪ জুলাই) সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় লোকাল মুদি দোকানগুলোতে ১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৯৯ টাকায়। আর ৫ লিটারের দাম রাখা হচ্ছে ৯৭০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, অনেক দোকান খুঁজেও নতুন দামে তেল না পেয়ে নিরুপায় হয়ে কিনতে হচ্ছে বেশি দামের তেল। রাজধানীর বড় বাজারগুলোতে পেলেও এলাকার ছোট বাজারে কিংবা পাড়ার মুদি দোকানগুলোয় এখনও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। এ নিয়ে ক্ষোভ, দুঃখ জানিয়েছেন ক্রেতারা।
খিলক্ষেত বাজারের তেল বিক্রেতা খায়রুল বলেন, ‘নতুন তেল বাজারে না আসলে দাম কমানো সম্ভব হবে না। ডিলাররা আগের তেল বিক্রি করা ছাড়া নতুন কম দামের তেল দিচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে আগের বাড়তি দরের তেল বিক্রি করতে হচ্ছে।’
খিলক্ষেত বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘দাম কমলেও এখনও আগেই দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। অথচ দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাজার বাস্তবায়ন হয়।
বর্তমানে সরকার নির্ধারিত করে দেওয়া প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের মুল্য ১৪ টাকা কমিয়ে ১৮৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ টাকা কমে ১৬৬ টাকা হয়। দুই লিটারের বোতলের দাম ৩৯৮ টাকা থেকে কমে ৩৭০ টাকা। আর পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ৯৮০ টাকায় কমে এখন ৯১০ টাকা।
বিশ্ববাজারে দাম কমায় গত মাসের শেষে ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা দেশে তেলের দাম কিছুটা কমানোর ঘোষণা দেয়। এর কিছুদিন আগে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তিন দফায় লিটারপ্রতি ৫৫ টাকা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।