করোনা অভিঘাতের পর বিশ্ববাজারে এখন চামড়ার বাণিজ্যে সুবাতাস বইছে। গত এক বছরে বিশ্বে চামড়ার গড় মূল্য বেড়েছে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। একই সময়ে বেড়েছে রপ্তানির চাহিদাও। কিন্তু দেশে কুরবানির পশুর চামড়ার বাণিজ্যের সুফল নিয়ে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
কারণ প্রতিবছর এই মৌসুমে সিন্ডিকেট করে মূল্যের ভয়াবহ ধস নামানো হয়। এ বছর এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব। এরই মধ্যে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কেমিক্যাল ও কনটেইনার ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে ট্যানারির মালিকদের।
তবে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, কুরবানির চামড়ার বাজার অস্থিতিশীল প্রতিরোধে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও সমস্যা সমাধানে যৌথ সমন্বয়সহ ১১টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঈদের দিন থেকেই শুরু হবে এসব কমিটির কার্যক্রম।
বিশ্ববাজারে চামড়ার চাহিদা নিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক রিপোর্টে দেখানো হয়, ২০২৮ সাল পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে এর চাহিদা বাড়বে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী চামড়ার বাজার ছিল ৩৯ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারে এবং ২০২৮ সালে তা দাঁড়াবে ৬২ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সুবাতাসের প্রতিফলন এরই মধ্যে বইছে দেশের রপ্তানি খাতে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সূত্রে সদ্য বিদায়ি অর্থবছরে (২০২১-২২) চামড়া খাতে রপ্তানি আয় হয় ১২৫ কোটি মার্কিন ডলার। যদিও এ সময় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ১০৩ কোটি ডলার।
বিশ্ববাজার পরিস্থিতি ভালো থাকার ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি চামড়া রপ্তানি হয়। এটি গত বছরের তুলনায় ৩২ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।