আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বছরের প্রথম দিন শুরু হলেও তা আজও পুরোপুরি জমে উঠেনি। তাছাড়া বেশ কিছু স্টল মেরামতের কাজ শেষ হয়নি এখনও। আর এমন সময় করোনার নতুন ধরন আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় মেলায় স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে কড়াকড়ি হচ্ছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যেসব বিষয় মানতে আহ্বান জানিয়েছে সেগুলোর মধ্যে- সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য) নিরুৎসাহিত করা, প্রত্যেক ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে সর্বদা সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

এর পরপরই মেলায় কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। আর তাতে ইপিবি সিদ্ধান্ত নেয়, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে মাস্ক পরিধান ছাড়া দর্শনার্থীরা যাতে মেলায় প্রবেশ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে চায় ইপিবি। তাছাড়া প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করা হবে। আজকালের মধ্যেই বিষয়গুলো নিশ্চিতে কাজ করবে ইপিবি।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী রাইজিংবিডিকে জানান, সরকারের যেকোনো নির্দেশনা পরিপালন করা হবে বাণিজ্য মেলায়। বিশেষ করে মাস্ক পরিধান ব্যতীত মেলায় দর্শনার্থীরা যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। একই সঙ্গে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের অনুরোধ করবো তারা যেন মাস্ক পরিধান করে আসেন। তাছাড়া মেলার প্রবেশ পথে দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হবে। এক কথায় স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির বিষয়টি মাথায় রেখে স্টল, প্যাভিলিয়নগুলো নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া আগের তুলনায় এবার স্টল ও প্যাভিলিয়ন কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি ফুড স্টল দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া অংশগ্রহণকারী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার বিবেচনায় এক্সিবিশন সেন্টারে বিল্ট ইন ১৬০টি সিসিটিভি। এছাড়া অতিরিক্ত আরও ৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রবেশ গেইট, পার্কিং এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে।