বেনাপোলে বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় মাদক ও নিষিদ্ধ পণ্য আমদানির অভিযোগে দুই সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও অভিযুক্তদের নামে মামলা দায়ের করেছেন কাস্টমস সদস্যরা। এদিকে এ মামলা হয়রানিমূলক অভিযোগ এনে শনিবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা। এতে বন্ধ রয়েছে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। ফলে বন্দরে শত শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে।
বুধবার সকালে বেনাপোল বন্দর থেকে গোপন সংবাদে একটি ভারতীয় ট্রাক আটক করেন কাস্টমস সদস্যরা। পরে ট্রাক তল্লাশি করে বৈধ পণ্যের ভেতর লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণে ফেনসিডিল, মদ, সিগারেট, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য পায়। মাদক আমদানির অভিযোগে শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি ও আইডিএস গ্রুফ লিমিটেড নামে দুই সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের নামে পুলিশে মামলা দায়ের করে কাস্টমস সদস্যরা।
সাধারণ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এভাবে ভারত থেকে মাদক আসলে দেশের যুবসমাজ ধ্বংস হবে। অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। রফতানিকারক ইদ্রিস আলী জানান, আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় শত শত ট্রাক আটকা পড়েছে বন্দরে। দ্রুত একটি সমাধানের মাধ্যমে বাণিজ্য সচলের দাবি জানাচ্ছি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান জানান, প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বৈধ ব্যবসায়ীদের হয়রানির প্রতিবাদে বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছে। মামলা প্রত্যাহার না করা হলে আগামীতে বড় ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বেনাপোল কাস্টমস জয়েন্ট কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, বৈধ পণ্যের সঙ্গে যদি মাদক অথবা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত সরঞ্জাম নিয়ে আসে তবে লাইসেন্স বাতিল বা মামলা করা ছাড়া উপায় থাকে না। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কেবল আইনি পদক্ষেপ নিতে লাইসেন্স বাতিল ও মামলা করেছে। তবে ব্যবসায়ীরা চাইলে তাদের সঙ্গে বসতে পারেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।