সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মিটারগেজ রেলপথ ডুয়েলগেজে রূপান্তরের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে বড় অঙ্কের ঋণ চেয়েছে রেলওয়ে। তবে এডিবি বলেছে, রেলের ট্যারিফ রিফর্ম পলিসি অর্থাৎ প্রতিবছর রেলের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করলে ঋণ পাওয়া যাবে।

রোববার (১৩ মার্চ) রেলভবনে এডিবি ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ শর্ত দেয় সংস্থাটি। রেলওয়ের জন্য প্রণীত ট্যারিফ রিফর্ম পলিসি কার্যকরের মাধ্যমে প্রতিবছর ভাড়া সমন্বয়ের শর্ত দেওয়া হয়। যদিও এখনই ভাড়া বৃদ্ধি সম্ভব নয় বলে জানায় রেলওয়ে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে প্রতিবছর ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অযৌক্তিক বলে জানানো হয়।

প্রাথমিকভাবে সাতটি প্রকল্পে এডিবির কাছে ঋণ চাওয়া হয়। এর মধ্যে চারটি প্রকল্পে আগামী তিন বছরের মধ্যে ৪০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি পাইপলাইনে থাকা আরও কিছু প্রকল্পে ঋণ চাওয়া হয় বৈঠকে। তবে ঋণ দেওয়ার আগে রেলওয়েকে ট্যারিফ রিফর্ম পলিসি কার্যকরের শর্ত দেয় এডিবি। এ ক্ষেত্রে প্রতিবছর রেলের ব্যয় বৃদ্ধির অনুপাতে ভাড়া বাড়াতে বা কমাতে হবে।

ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি রেলের হিসাব ব্যবস্থাপনায় ইআরপি (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং) সফটওয়্যার চালু ও কনটেইনার কোম্পানির কার্যক্রম শুরু করার কথাও উল্লেখ করেছে এডিবি। রেলওয়ে রিফর্মের অংশ হিসেবে এগুলো দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের শর্ত দেয় সংস্থাটি।

তথ্যমতে, ২০০৬ সালে এডিবির ঋণে রেলওয়ে রিফর্ম প্রকল্প নেওয়া হয়। এর আওতায় কয়েকটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের শর্ত ছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ট্যারিফ রিফর্ম পলিসি প্রণয়ন ও কার্যকর করা। ২০১৩ সালে এ পলিসি প্রণয়ন করা হয়, যা পরবর্তীকালে সরকার অনুমোদন করে। এ ক্ষেত্রে রেলের লোকসান কমাতে প্রতিবছর ভাড়া সমন্বয়ের শর্ত ছিল। অর্থাৎ, প্রতিবছর রেলের পরিচালন ব্যয় যে অনুপাতে বৃদ্ধি পাবে, সে অনুপাতে ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে।

 

 

কলমকথা/ বিথী