কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার পর ছাত্রলীগের বহিরাগত এক পক্ষ হঠাৎ অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে শোডাউন করে।
এই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে বাজি ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ৩ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এসময় সদ্য সাবেক কমিটির নেতাকর্মীরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে বের হলে বহিরাগত পক্ষ ক্যাম্পাস থেকে চলে যায়। এসময় পুলিশসহ প্রশাসনের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এরপর পুলিশকে সাথে নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি বঙ্গবন্ধু হলের সামনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রক্টরিয়াল বডি এবং এখানকার থানার ওসি ও কোটবাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে তারা বাজি ফুটিয়েছে। আর পুলিশের বক্তব্য বাজি ফুটানোর গ্রাউন্ডে মামলা দেওয়া যায় না। যদি এধরণের মামলা দেওয়া হয়ও তাহলে এমন লাইট মামলা ঠিকবে না।
শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচানর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে মামলার গ্রাউন্ডের বিষয়ে কথা বলেছি।
পুলিশ যে গ্রাউন্ডে মামলা নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা সেটায় রাজি না। তারা বলতেছে বাই নেইমে একটা একটা মামলা করার জন্য। প্রশাসন থেকে বাই নেইমে মামলা করার এখতিয়ার আমার নাই। তাই তারা আলোচনা থেকে উঠে চলে গেছে।
তিনি বলেন, তারা যদি আমাদের কথায় রাজি হয় তাহলে সে অনুযায়ী মামলা প্রোসিড হবে। ওরা যদি আমাকে শর্ত দিয়ে দেয় এই এই শর্ত মানতে হবে সেক্ষেত্রে ওদের শর্ত মেনে আমি মামলা করতে পারি না। শিক্ষার্থীরা আবার কথা বলবে বলেছে, ওরা ফাইনালি যা জানাবে সেটার উপর বেস করে উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবো।
এই ঘটনায় যদি বহিরাগত কেউ থেকে থেকে থাকে তাহলে এটা পুলিশ তদন্ত করে বের করবে। এখানে কোন ব্যক্তির নামে উল্লেখ করে মামলা দেওয়ার এখতিয়ার আমার নাই। সেই জায়গা থেকে যদি মামলার সিদ্ধান্ত আসে তাহলে আমার অজ্ঞাত নামেই মামলা করতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি (ইলিয়াস-মাজেদ) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১২টায় কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।