এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বললেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শওকত জাহাঙ্গীর ২৭ এপ্রিল (বুধবার) সন্ধ্যা রাত ১০টা ৫০মিনিট নাগাদ তিনি তার নিজ ফেসবুকে ওয়ালে লিখেছেন গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার আওতাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘সি’ নয় বরং ‘ডি’ গ্ৰেডে পর্যবসিত হতে যাচ্ছে, এই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের আওতায় থাকবে কিনা তা নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভায় পক্ষে-বিপক্ষে অনেক আলোচনা হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষকই গুচ্ছের বিপক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি উপস্থাপন করলেও শেষ পর্যন্ত ১০টি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে শুধুমাত্র এইবারের মতো গুচ্ছের আওতায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

শিক্ষক সমিতির সভায় বলেছিলাম, গুচ্ছ বহির্ভূত ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি, রাবি, চবি, জাবি, বিইউপি, বুয়েট) হলো ‘এ’ গ্ৰেডভুক্ত, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘বি’ গ্ৰেডভুক্ত, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্ভবত: ‘সি’ গ্ৰেডভুক্ত।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান জানা না থাকায় ‘সম্ভবত:’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলাম। একটু আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখলাম। তারা জুন মাসে আবেদন নিয়ে ভর্তি শেষ করে জুলাই মাসের ৩ তারিখ ক্লাস শুরু করবে।

এদিকে গুচ্ছের পরীক্ষাই হবে সেপ্টেম্বর মাসে এবং জানুয়ারির পূর্বে ক্লাস শুরু করা কঠিন হবে। তার মানে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও ৬ মাস পরে ক্লাস শুরু করবো!?

আমরা কি মানের শিক্ষার্থী পাবো তা সহজেই অনুমেয়।
গতবার ভর্তি নিয়ে যে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যে কারনে গুচ্ছ পদ্ধতি ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে— এবার যে কি হবে তা এখনো অনিশ্চিত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রস্তাব ও দাবি অনুযায়ী জুলাই মাসে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ১লা সেপ্টেম্বর ক্লাস শুরু সহ শিক্ষার্থী ও জনবান্ধব অন্যান্য দাবি সমূহ মেনে নিয়ে মে মাসের ২য় সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।