প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিরাপত্তা চেয়ে খোলা চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছয় শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার বিকালে বুয়েট শহিদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ছাত্ররাজনীতির পক্ষের এই শিক্ষার্থীরা।
খোলা চিঠিতে তারা বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে দাবি করেন, তাদের মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে।
তাদের ভাষ্য- বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতিকে এক প্রকার নিষদ্ধি কাজ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আমরা প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরাও অংশ নিতে চাই দেখে আমাদের ক্যাম্পাসে দীর্ঘ একটি সময় ধরে মানসিক নিপীড়ন চলে আসছে, যা বর্তমানে আমাদের জীবনের হুমকিতে রূপ নিয়েছে।
নিজেদের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য তারা বলেন, আপনাকে আমরা বলতে চাই- শুধু স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য যে পরিমাণ বুলিং করা হয়েছে আমাদের ওপর তা অকথ্য। এই নিপীড়নের কারণ শুনতে হলে আমাদের ২০১৯ পরবর্তী বেশ কিছু ঘটনা জানতে হবে। বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (ইইই ১৭) ভাইয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষদ্ধি হয়।
কিন্তু এরপর র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকা বা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গের অভিযোগ না থাকলেও সংখ্যালঘু ছাত্রদের ওপর শুরু হয় পাবলিক হিউমিলিয়েশন এবং ডিফেমেশন; যা হয় শুধু স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হওয়ার কারণে। পরবর্তীতে আমরা বুয়েটে ভর্তি হলে আমরাও আমাদের জাতির পিতার আদর্শকে পালন করতে চাইলেই আমাদের বুলিং ও নানাভাবে আমাদের হ্যারাস করা হয়।
ওই শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে হলের রুমে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখতে চাইলে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ করেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনা’ বিষয়ক ক্লাব প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সমালোচনার শিকার হন বলে জানান তারা।
এর আগে গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীরা প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক. ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বলে জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।