জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে প্রক্সি দিয়ে ২০২১-২২ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে ভর্তি কমিটি। আটক শিক্ষার্থীর নাম সৈয়দ আব্দুস সামি।
সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনে সাক্ষাৎকার দিতে আসলে তাকে আটক করা হয়।
আটক সৈয়দ আব্দুস সামির গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায়। তিনি উপজেলার ১২ নম্বর আছিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং শাহাবুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সামি প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন ।
জিজ্ঞাসাবাদে সামি বলেন, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিলের সাথে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে জাবিতে চান্স পাইয়ে দেওয়ার চুক্তি হয়। পরে শাকিলের মাধ্যমে বুয়েটের শিক্ষার্থী মাহফুজ আমার পক্ষে পরীক্ষায় অংশ নেন।
তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ‘বি’ ইউনিটে আমার মেধাক্রম হয় ১১৬। ফলে চুক্তি অনুযায়ী দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধ করি। বাকি ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মাহফুজকে দেওয়ার কথা বলে শাকিল জমা নিয়েছে।
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকবার হোসেন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর হাতের লেখার সঙ্গে তার ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রের লেখার মিল ছিলো না।ফলে আমাদের সন্দেহ হয় । পরে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন,’নিরাপত্তা শাখায় এনে সৈয়দ আব্দুস সামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় সে প্রথমে জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে। যদিও পরে জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে। তার মুঠোফোন জব্দ করে জালিয়াতি চক্রের কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।