রাকিব রিফাত, ইবি: ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেষ হলো ভর্তি পরীক্ষা। এর আগে ২০ মে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’ ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। ২৭ মে অনুষ্ঠিত হয় ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা এবং ৩ জুন ‘এ’ ইউনিটের মাধ্যমে শেষ হয় গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা।
গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার ১৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্র ছিল কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব অনুষদ না থাকায় সতন্ত্রভাবেই ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোন প্রকার অসঙ্গতি ছাড়াই সুষ্ঠু পরিবেশে শেষ হলো ভর্তি পরীক্ষা।

সুষ্ঠু পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে নানা সেবায় নিয়োজিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। প্রতিটি ভর্তি পরীক্ষা দিনে দূর দুরান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের মাস্ক, সুপেয় পানি, ‘জয় বাংলা’ বাইক সার্ভিস ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল ক্যাম্প নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশে ছিল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। যেসব পরীক্ষার্থীরা যথা সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেন নি । এমতাবস্থায় এসব পরীক্ষার্থীর সহায়তায় ‘জয় বাংলা’ বাইক সার্ভিসের মাধ্যমে কেন্দ্রে পৌছে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের এমন কার্যক্রমে মুগ্ধ হয়েছে দূর দুরান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে সংগঠনটি।

হৃদয় নামের এক ভর্তিচ্ছু বলেন, জ্যামের কারণে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় খুবই চিন্তা হচ্ছিল। ঠিক তখনই এমন বাইক সার্ভিস পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে।

বাইক সার্ভিস দেওয়া মেজবাহুল ইসলাম বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় বাইক সার্ভিস নিয়ে পাশে থাকতে পেরে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে। ওরা বিশ্বদ্যিালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলে সারাজীবন ছাত্রলীগের সহযোগিতার কথা মনে রাখবে, এটাই বড় প্রাপ্তি।

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থেকে আসা আরিফ নামে এক অভিভাবক বলেন, ছেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তার সাথে আমি এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখি নানা মুখী সেবায় নিয়োজিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের এমন কার্যক্রমে আমরা মুগ্ধ।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার সংক্রান্ত পদক্ষেপে ছাত্রলীগ সবসময় সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দেবে। আমরা আমাদের সাধ্যের মধ্য থেকে চেষ্টা করেছি ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের পাশে থেকে সহায়তার করার। আমাদের এই চেষ্টার ধারা যুগ যুগ ধরে অব্যাহত থাকবে।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ছাত্রলীগ সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল এবং থাকবে। আমাদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ভর্তিচ্ছুদের মাঝে সহায়তা নিয়ে হাজির হয়েছি। এতে ভর্তিচ্ছুরা উপকৃত হয়েছে এবং কর্মীরাও অনুপ্রাণিত হয়েছে। সামনের ভর্তি পরীক্ষা গুলোতে আরো বৃহৎ পরিসরে সহায়তার চেষ্টা থাকবে।