চাঁদপুরের দরিদ্র অটোচালক পিতার অদম্য মেধাবী ছেলে রায়হান গাজীর প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন পূরণে দায়িত্ব নিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রায়হান চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে চাঁদপুর রোটারি ক্লাবের বৃত্তি নিয়ে শুরু করে মাধ্যমিকে পড়াশোনা। এভাবে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এখন পর্যন্ত চাঁদপুর রোটারি ক্লাবের বৃত্তি তাকে দেওয়া হয়।
কিন্তু বরাবরই মেধাবী রায়হানের খটকা লাগে অষ্টম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে নবম শ্রেণিতে উঠে- কোন বিষয় নিয়ে পড়বে রায়হান। শেষ পর্যন্ত মেধাবী রায়হান বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলো। তার স্বপ্ন প্রকৌশলী হবে। কিন্তু তাতে বাধা তার পিতার দারিদ্র্য। কারণ বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনায় অনেক খরচ।
আবারো এগিয়ে এলো চাঁদপুর রোটারি ক্লাব। রায়হান ভরসা পেল সে বিজ্ঞান বিভাগেই পড়তে পারবে। এসএসসিতে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলো রায়হান। সফল তাকে হতেই হবে! স্বপ্ন পূরণে আরেক ধাপ এগিয়ে অদম্য রায়হান একাদশ শ্রেণিতে চান্স পেয়েছে নটরডেম কলেজে। এবার রায়হানের পরিবারের পূর্বের মতো মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে। চাঁদপুর রোটারি ক্লাবের বর্তমান সভাপতি রোটারিয়ান শাহেদুল হক মোর্শেদসহ ক্লাব সদস্যরা আবারো এগিয়ে এলেন রায়হানের পড়াশোনায়।
চাঁদপুর রোটারি ক্লাবের সভাপতি শাহেদুল হক মোর্শেদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রোটারিয়ান নাজিমুল ইসলাম এমিল এ বিষয়ে যোগাযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে। তাদের কাছে রায়হানের সব কথা শুনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির প্রথম কথা- ‘ওর তো আগামী সপ্তাহেই ক্লাস শুরু হবে। ওকে চলে আসতে বলো। ওর উচ্চশিক্ষার সব দায়িত্ব আমি নেব।’
যেই কথা সেই কাজ। মেধাবী রায়হান তার দরিদ্র বাবা ও চাঁদপুর রোটারি ক্লাবের নেতাসহ ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মাতৃস্নেহের পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দিলেন রায়হানের মাথায়। সাদামাটা ভঙ্গিতে বললেন, তুমি শুধু পড়বে, তোমার প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। তোমার সব দায়িত্ব আমার। শিক্ষামন্ত্রীর এই মহানুভবতায় অদম্য মেধাবী রায়হান ও তার দরিদ্র বাবার চোখে আনন্দের অশ্রু।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।