নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১৯৮৫-৮৬ থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। দিনটি উপলক্ষে শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টায় অনুষদ ভবন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ইবির সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আফাজ উদ্দীন, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. এইচ এ এন এম এরশাদ উল্লাহ, সভার প্রধান উপদেষ্টা ও বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ, ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট’র মহাপরিচালক ড. এম আবদুল আজিজ।

এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, পরিবাহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মাসহ বিভাগের অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘অ্যালামনাই হলো এমন একটা প্লাটফর্ম যা আমদের অনুভূতি তৈরি করে। আজ আমরা এই অনূভতির জোরেই এক মহাবৃক্ষে পরিণত হয়েছি। এই মহাবৃক্ষের বীজ হলো এই ডিপার্টমেন্ট। পৃথিবীর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের অ্যালামনাইদের নিয়ে বিভিন্ন ফাউন্ডেশন ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। আমরাও এরকম ফাউন্ডেশন গঠন করব যাতে একটা ছেলেও ঝড়ে না পড়ে সেক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের অ্যালামনাইদের নব্য গ্রাজুয়েটদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান দুনিয়ার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে অনার্স পড়ুয়াদের নলেজ বেজড পড়াশোনা করতে হবে। আর দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। তা না হলে গ্রাজুয়েট হয়ে কোন কাজে আসবে না। তাই সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ নিয়ে গ্রাজুয়েটদের এই আদর্শ ও মূল্যবোধ লালন করে এগিয়ে যেতে হবে, তবেই উজ্জ্বল বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে।’

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করে বিভাগটি।