সংসারে অভাবের কারণে পঞ্চম শ্রেণি পাসের পর থেকেই কাঠের দোকানে বাবার সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন মোস্তাকিম আলী। অনেক কষ্টে তিন সন্তানকে পড়ালেখা করাচ্ছেন কাঠমিস্ত্রি শামায়ুন। বড় ছেলে হিসেবে মোস্তাকিম এখনো কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। তবে পেশায় কাঠমিস্ত্রি হলেও পড়ালেখার প্রতি তীব্র ভালোবাসা কখনও কমতে দেননি মোস্তাকিম।
যার ফলশ্রুতিতে চলতি বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন মোস্তাকিম। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের গ্রুপ-৩ এ ৮০ দশমিক ৩০ নম্বর পেয়ে প্রথম হন তিনি। জানা যায়, কোনো ভর্তি কোচিং বা স্পেশাল প্রাইভেট পড়েনি সে। তবে স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা তাকে অনেক সহযোগিতা করেছে।
অনলাইনে কিছু ভর্তি প্রস্তুতির লেকচার পেয়ে সেগুলো অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি করেছিল। দিনে কাজ করলেও পড়ালেখা করতেন রাতে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ১৫ দিন আগে কাজে বিরতি দেন। তিনি কষ্টের ফল পেয়েছেন। তাই তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।
নিজেকে করপোরেট চাকরির উপযোগী করে গড়ে তুলতে চান। পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান মোস্তাকিম। ছেলের সফলতায় উচ্ছ্বসিত বাবা শামায়ুন আলী বলেন, সঠিক দিকনির্দেশনায় লেখাপড়া করায় এমন সাফল্য পেয়েছে মোস্তাকিম। তার সাফল্যে আমি গর্বিত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।