গুচ্ছভুক্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ সেশনে এ ইউনিটে চান্স পেয়েও গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন শাওন চৌধুরী।
শনিবার (১২ নভেম্বর) নোবিপ্রবিতে ১ম মেরিট লিস্টের ভর্তির শেষ দিন ভর্তি হতে এসে গুচ্ছের জটিলতায় ভর্তি না নিয়েই এই শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিযোগ, চান্স পেয়েও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন পূরণে বাধা জিএসটির ভর্তি প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, পূর্বে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছি। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় নোবিপ্রবিতে প্রথম মেরিটে ভর্তির সুযোগ পেয়ে ভালো ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ার আশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিলের জন্য আবেদন করি৷ আমার ভর্তি বাতিল প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। রবিবার ভর্তি বাতিল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে আমার মূল কাগজপত্র ফিরিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি জানান, এদিকে জিএসটির অধীনে নোবিপ্রবিতে ভর্তির আজ শেষ সময়। নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা জমা দিয়ে ভর্তি হতে এসেছি। কিন্তু মূল কাগজপত্র দিতে না পারায় আমার ভর্তি নেয়নি নোবিপ্রবি।
এই শিক্ষার্থী আরো জানান, একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল অন্যদিকে জিএসটি ভর্তি প্রক্রিয়ার মারপ্যাঁচে নোবিপ্রবিতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত। এমতাবস্থায় আমার স্বপ্ন দূরেই রয়ে গেলো, আর শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার উপক্রম।
এ বিষয়ে নোবিপ্রবি ভর্তি পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন,” আমাদের জিএসটি ভর্তি নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। জিএসটি ভর্তি প্রক্রিয়ায় মূল কাগজপত্র জমা ছাড়া ভর্তি হওয়ার কোন নিয়ম নেই৷ বিগত বছরগুলোতে যখন নোবিপ্রবি প্রশাসন নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতো, তখন আমরা ফটোকপি কাগজপত্র জমা দিয়ে মূল কাগজপত্র জমা দেওয়ার ডেটলাইন দিতে পারতাম। কিন্তু জিএসটি ভর্তি প্রক্রিয়ার নিয়মের কারণে উক্ত শিক্ষার্থীর আর নোবিপ্রবিতে আর ভর্তি হওয়ায় সুযোগ নেই। যদি জিএসটি কতৃপক্ষ এদের পুনরায় ভর্তির সুযোগ করে না দেয়।
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, জিএসটির নিয়মের বাহিরে গিয়ে আমরা কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারি না।জিএসটি ভর্তি পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মূল কাগজপত্র ছাড়া ভর্তি নিতে আমাদের নিষেধ করে দিয়েছেন। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে আমাদেরকে জিএসটিতে জবাবদিহি করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিএসটি ভর্তি পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এই বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি নোবিপ্রবি উপাচার্যকে জানিয়ে দিয়েছি কি করতে হবে, উনার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।