ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক প্রবেশ করতেই দেখা যাচ্ছে একদল শিক্ষার্থী রংতুলিতে ব্যস্ত সময় পার করছে।


চোখ মেলে তাকাতেই চোখে পড়ছে প্রধান ফটক, মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‌্যালের পাদদেশ, প্রশাসন ভবনের সম্মুখ ও ডায়না চত্বর এলাকায় নানা রংয়ের আল্পনার সাঁঝ।

লাল, সাদা, নীল, হলুদ ইত্যাদি রংয়ের সংমিশ্রণে আল্পনায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে ক্যাম্পাসের। এছাড়াও ক্যাম্পাস কেটে ফেলা হয়েছে ঝোপঝাড়। পরিষ্কার করা হয়েছে ক্যাম্পাসের সব জায়গা।

ভর্তিচ্ছুদের আগমনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতের ছোঁয়ায় ইবির এমন সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।

জানা যায়, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল ৩০ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা। ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।

২য় বারের মত গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ গ্রহণ করবে ইবি। অন্যান্য বারের মত এবারও ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে নবীন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বরণ করতে এবং তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

পরীক্ষার দিনগুলোতে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবেন র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এছাড়া যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে সর্বদা মনিটরিং করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট)।

ক্যাম্পাসের আল্পনার সাজ নিয়ে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুন্নবী সৌরভ বলেন, ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে চারুকলা বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা আলপনা করেছি।

চারুকলা যে ক্যাম্পাসের প্রাণ সেটাকে জানান দেওয়া। এই ক্যাম্পাস সাজিয়ে রাখার দায়িত্ব এই বিষয়টাকে সামনে রেখে আমরা ১ম ও ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একসাথে কাজ করেছি।

নতুন যারা আসবে তারা যেন ক্যাম্পাসকে সুন্দর দেখতে পারে এবং তাদের ভিতরে যেন ভালোবাসা তৈরি হয়। প্রচন্ড গরম পরেছে, বৃষ্টি হয়েছে তবু আমরা থেমে থাকিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে সাজিয়ে রাখার তীব্র আশা নিয়ে কাজ করছি। ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আমাদের বিভাগের স্যার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।

ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিরাপত্তা সর্বোচ্চ জোরদার করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় কেউ যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।