র্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় মসজিদে এসে শেষ হয়। পরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সা.) উপলক্ষে ‘সিরাতুন নবী (সা.) ও বাস্তবিক জীবনে তার প্রয়োগ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রফেসর ড. কাউসার মো. বাকী বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুসা হাসেমী। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ নিয়াজ মাখদুম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান বলেন, বিশ্ববাসীর জন্য উত্তম আদর্শ হলো রাসূল (সা.)। তিনি হলেন সারা বিশ্বের জন্য শ্রেষ্ঠ রোল মডেল। আমাদের দেশটাকে সুখী,সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে রাসূল সা. কে অনুসরণ আবশ্যক। একমাত্র এই পথেই মিলবে জাতির কল্যাণ ও সাফল্য।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কুইজ, বিতর্ক, বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। এতে নবীজীর জীবনী সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবে। বাস্তব জীবনে তার প্রয়োগ করতে পারবে। রাসূল সা: এর ত্যাগ, পরমতসহিষ্ণুতা, অসম্প্রদায়িক চেতনা, বিশ্বস্থতা, মানুষকে দুঃখ না দেওয়া, যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্যস্থানে নিয়োগ প্রদান করাসহ রাসূল সা. যে গুণ অর্জন করেছেন তা ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সামগ্রিক জীবনে আমরা যেন বাস্তবায়ন করতে পারি। তাহলে এর মাধ্যমে আমরা একটি সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
সভা শেষে রাসুল সা. এর শানে দরুদ ও ইসলামিক গান পরিবেশ করা হয়। পরে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রফেসর ড. কাউসার মো. বাকী বিল্লাহ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।