রাকিব রিফাত,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বনি আমিন নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাস ড্রাইভারের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বনি আমিন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি। বুধবার (৩১ মে) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বরাবর অভিযোগ দেয় বাস ড্রাইভার তোজাম্মেল হোসেন সবুজ।

পরে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরিনকে আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ আবদুস সালাম সেলিমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির অন্য সদস্য হলেন সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাস ড্রাইভার তোজাম্মেল হোসেন সবুজ বলেন, আমি কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস থেকে বাস ছেড়ে বটতৌলে আসি। এসময় ২-৩ জন মেয়ে বাসে উঠে। ওই মেয়েদেরকে বাসে সিটে বসতে দেওয়ার জন্য ওই ছেলেকে (বনি আমিন) আমি জিজ্ঞেস করি আপনি কোথায় যাবেন? সে বলে আমি ক্যাম্পাসে যাবো। ওই সময় তাকে আমি অনুরোধ করি মেয়েদের জন্য সিট ছেড়ে দিতে। তখন ওই ছেলে আমাকে ধমক দিয়ে বলে আমি সিট ছাড়বোনা। তখন আমি তাকে বলি সিট ছাড়বেননা ঠিক আছে তাই বলে এরকম ব্যবহার করাটা ঠিক হলোনা। এরপর ওই ছেলে ক্যাম্পাসের সামনে নামার সময় কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছিলো। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ কয়েকজন লাঠিসোটা, রড, চাপাতির ন্যায় কিছু দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর আক্রমন করে। এরফলে আমি হাতে গুরুতর আঘাত পাই। পরে আমার বন্ধুদের সাথে কথা বলে, পুলিশের সাথে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।

ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বনি আমিন বলেন, আমি কুষ্টিয়া শহর থেকে বাসে উঠে ক্যাম্পাসে আসছিলাম। পথিমধ্যে বাস ড্রাইভার আমাকে সিট ছেড়ে দিতে বলে। তখন তাকে বলি, আমি বাসে টিকেট কেটে উঠেছি সিট ছেড়ে দেয়ার জন্য নয়৷ তাছাড়া আপনি সিট দিতে পারবেননা অথচ বাসে এতো মানুষ উঠাচ্ছেন এটা তো ঠিক নয়।  তখন সে আমার সাথে বাজে ব্যবহার করে। ফলে ক্যাম্পাস গেটে নামার সময় তাকে নিচে ডেকে বলি আপনি যে সিট নিয়ে আমার সাথে বাজে ব্যবহার করলেন এটা কি ঠিক হয়েছে। তখন এক পর্যায়ে তার সাথে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। পরে কথা-কাটাকাটির জের ধরে হালকা হাতাহাতি হয়েছে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সাথে।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী যারা রয়েছেন আমরা তাদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। তাদের অভিযোগ শুনেছি। তারা মারধরকারী ৪/৫ জন ছিলো বলেছে। এর মধ্যে দুইজনের নাম বলেছে। আমরা প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের অপরাধের মাত্রা নির্ধারণ করতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।