শিহাব উদ্দিন সরকার (যবিপ্রবি): বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রনীত প্রহসনের অভিন্ন নীতিমালা প্রতিহত , নবম পে – স্কেল প্রদান ও পে-স্কেল ঘোষনার পূর্ব পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দাবীতে বাংলাদেশ আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের (আবিকফ) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। আজ সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল মধুসূদন দত্ত গ্রন্থাগার কাম একাডেমিক ভবনের সম্মুখে সকল কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, গত ২২ মে ২০২২ খ্রি. তারিখে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ আত্মবিশ্ববিদ্যাল কর্মচারী ফেডারেশনের সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী নিয়োগ , পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালা নিয়ে মতামত প্রদানের এক সভা অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সেই মতামতকে উপেক্ষা করে অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । মঞ্জুরী কমিশন যে ভাবে নীতিমালা প্রনয়ন করছেন সেই নীতিমালা যদি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন হয়, তাহলে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীগণ ভীষন ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। অন্যদিকে ৮ ম জাতীয় পে স্কেল প্রদানের প্রায় আট বছর অতিবাহিত হলেও সরকার থেকে ৯ ম পে-স্কেল ঘোষনায় কোন পদক্ষেপ না থাকায় বিশ্ববিদ্যায়ের কর্মচারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বঞ্চিত হচ্ছে। বৈষম্য দূরীকরণ ও নবম পে-স্কেলের দাবিতে বারংবার সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে আসছে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবি কর্মচারী সমিতির তত্ত্বাবধায়ক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সরদার ফরিদ আহমেদ। এছাড়া বাংলাদেশ আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ও যবিপ্রবি কর্মচারী সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি শওকত ইসলাম সবুজ, কর্মচারী সমিতির সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি রুমেল রহমান রনি ও আরিফুল ইসলাম শিন প্রমুখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।