ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেট সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই শিক্ষার্থীর শরীরের কয়েক জায়গায় মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম উৎস। সে আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষে অধ্যয়ণরত। এদিকে মারধরের পর ওই শিক্ষার্থীর মেসে গিয়ে অভিযুক্তরা হুমকি দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠের এক পার্শ্বে নিয়মিত ফুটবল খেলে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে যথারীতি তারা ফুটবল খেলতে যায়। এসময় বহিরাগত ১০ থেকে ১২ জন একই স্থানে ক্রিকেট খেলতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের অন্য জায়গায় খেলার জন্য অনুরোধ করে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে বহিরাগত কয়েকজনের বাকবিতন্ডা হয়। পরে সন্ধ্যায় এ ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকৃহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের উৎস নামের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটায় বহিরাগত ১০/১২ জন। ভুক্তভোগীর শরীরের তিন জায়গায় মারধরের ক্ষত দেখা গেছে।
এমনকি রাত এক টায় বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববর্তী ভাই ভাই মেসে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে হুমকি দিয়েছে তারা৷ এর নেতৃত্ব দিয়েছে বহিরাগত ইমন। যার বিরুদ্ধে অতীতেও অনেক শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। ঘটনাটি জানাজানির পর শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিয়মিত ক্রিকেট ও ফুটবল মাঠে বহিরাগতরা ঝামেলা করে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেছে সংগঠনটি।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, একজনের মাধ্যমে কিছু সময় আগে ঘটনাটি শুনেছি। তাছাড়া এই বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।