বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এখন কেবল কিছু কংক্রিটের অবকাঠামোর নিয়ে আছি। যেখানে বিল্ডিং আছে, গাড়ি আছে, আইন আছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় নাই। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেগুলার ক্লাস হয় না অথচ সান্ধ্যকালীন ক্লাস ঠিকই হচ্ছে। গবেষণা নিয়ে কথা হচ্ছে অথচ শিক্ষকরা তো ঠিকমত ক্লাসই নেন না।

সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্যের প্রতিবাদে প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার এসব কথা বলেন। কর্মসূচি থেকে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও নিপীড়ন বন্ধ এবং শিক্ষাঙ্গণে নৈরাজ্য বন্ধের দাবি জানান তারা।

দেশের শিক্ষার মান দিন দিন খুবই নিম্ন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে দাবি করে কাজী মামুন হায়দার বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে একই ‘চোতা’পড়াচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মহান’ শিক্ষকরা। সেই চোতা পড়াতে পড়াতে লাল হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে কথা বললে নম্বর বিষয়ে হুমকি দেওয়া হয়। সেই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং নিয়ে কথা বলা অবান্তর।

আরও পড়ুন… মাছ থেকে প্যাকেটজাত শুকনো খাবার তৈরি করলেন রাবির গবেষকরা

মানববন্ধনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অধিকাংশ বৈধ শিক্ষার্থীরা সিট পাচ্ছে না। আবার যারা পাচ্ছে তাদের বড় অঙ্কেও চাঁদা দিতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ৫০ জন প্রতিবাদী শিক্ষক থাকত তাহলে মনে হয় কেউ এসব অনিয়ম করে পার পেত না।

র‌্যাকিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ইদানিং বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। যেখানে শিক্ষক নিয়োগ হয় আত্মীয়তা, আঞ্চলিকতা, রাজনৈতিক বিবেচনায় সেখানে কিসের র্যাং কিং? চেতনার কথা বলে এসব অনিয়ম করা হচ্ছে, যা মূলত চেতনারই অবমাননা।

মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন মোল্ল্যা, সাংবাদিক জামাল কাদরী, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান প্রমুখ। কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের ২৫-৩০জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

কলমকথা/সাজ্জাদ