বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ‘নতুন নিয়ম’ বাদ দিয়ে আগের পদ্ধতিতেই নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় অপেক্ষমাণ নন-ক্যাডার প্রার্থীরা।

নতুন নিয়মকে ‘বেকার বিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক’ বলে ছয় দফা দাবিও জানিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্যারিস রোডে এক সমাবেশ ও মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

‘বিসিএস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রত্যাশীদের’ ব্যানারে ডাকা এই মানববন্ধনে প্রায় অর্ধ শতাধিক লোক অংশ নেন। অবিলম্বে ছয় দফা দাবি মেনে নিতে তাঁরা সরকার ও পিএসসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো, বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারি নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের বেকার বিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল, ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে দেওয়ার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা, যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই একই প্রক্রিয়ায় বর্তমানে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান, ‘যার যা প্রাপ্য, তাকে তা-ই দেওয়া হবে’ পিএসসির এমন বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও বেকারত্ব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করে বেকার বান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং গত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই ধারা অব্যাহত রাখা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চাকুরী প্রত্যাশী বলেন, ‘৪০তম বিসিএস এর সার্কুলার অনুযায়ী তখন থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো পদ এসেছিলো সেগুলো অলরেডি ৩৬, ৩৭ এবং ৩৮তম বিসিএস ননক্যাডারদের দেয়া হয়েছে।

মেধামী সমাজ যারা হয়তো এখনো বিসিএস দেন নাই অথবা যারা দিয়েছেন কিন্তু নন-ক্যাডারে যারা এখনো আসেন নাই তারা এখনো বুঝতে পারছেন না কোন ধোয়াসার মধ্যে আছেন।

আগামী ৫ বছর একটা ননক্যাডারও নিয়োগ হবার সম্ভাবনা নেই। সেখানে একজন ছেলে বা মেয়ে ন্যূনতম ৪ বছর পরিশ্রম করে যখন জানতে পারে তাকে খালি হাতে তাকে ফিরে আসতে হবে, তখন তার দরিদ্র বা অসহায় পরিবার বুঝতে পারে তা কতটা মর্মমান্তিক এবং কষ্টের।’