মনোহরদীর ৮ কলেজের চারটিতেই পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের সব ক’টিই চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে। কোনো কোনো কলেজ প্রায় এক যুগ ধরেই চলছে ভারপ্রাপ্তে। ৫বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও সেখানে ভারমুক্তি মিলছে না। নানা জটিলতায় এসব কলেজে পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগ হচ্ছে না।
মনোহরদীর হাতিরদীয়া রাজিউদ্দীন ডিগ্রী কলেজে পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ নেই ৭ বছর ধরে। সেখানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, দায়িত্বে এসে ২ বার ও তার আগে নাজমা সুলতানা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকাকালে ৩ বার অধ্যক্ষ চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।তিনি আরও জানান, যোগ্য প্রার্থীরা আগ্রহী হচ্ছেন না বলে এ অবস্থা চলছে। উপজেলার খিদিরপুর ডিগ্রী কলেজ একটি এলাকায় একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ। সেটিও চলছে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ক্রমাগত ৩ মেয়াদে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে চলছে কলেজটি। অধ্যক্ষ নেই সেখানে এক যুগেরও বেশী সময় ধরে।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আগে এখানে ৪ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন জিয়াউল হাসান সেলিম। তার আগে ছিলেন আরতী রানী দাস। তারও আগে ছিলেন একজন নিয়মিত অধ্যক্ষ।খিদিরপুরের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ফারুকুজ্জামান জানান, তারা বেশ ক’বার অধ্যক্ষ চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন পত্রিকায়, কিন্তু অধ্যক্ষ মিলছে না। এটি এখন একটি জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেসিক কম বলে যোগ্যতা সম্পন্ন কারো জন্য নতুন করে অধ্যক্ষ পদে এসে পোষায় না বলে কেউ এ পদে আগ্রহী হন না বলে তিনি মনে করছেন।কাঁটাবাড়ীয়া আফাজ উদ্দীন খান মহিলা কলেজে নিয়মিত অধ্যক্ষ নেই ২ বছর ধরে। কলেজটির সিনিয়র শিক্ষক আবুল কালাম অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন সেখানে।
পাঁচকান্দী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সম্প্রতি ব্যক্তিগত কারণে সেখান থেকে পদত্যাগ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে উপাধ্যক্ষ একেএম তোফাজ্জল হোসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি জানান, খুব শীঘ্রই সেখানে অধ্যক্ষ চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। ফলে খুব বেশি দিন তাকে অধ্যক্ষের ভার বহন করতে হবে না বলে মনে করছেন তিনি।এছাড়াও মনোহরদীর বারুদীয়া নূর কারিগরি কলেজ চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে, কৃষ্ণপুর বালিকা দাখিল মাদ্রাসা ও মনতলা আশরাফিয়া দাখিল মাদ্রাসা চলছে ভারপ্রাপ্ত সুপারে। একইসাথে চক তাতারদী লায়ন বাতেন উচ্চ বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।