সতর্ক‘ রাশেদুল ইসলাম

সজাগ করিবো তাই
লিখিয়াছি আশুখানা,
মন্দ লোকের ধারে
যাইতে করিলাম মানা।

চোরের সহিত চোর
সাধের সংগে সাধ,
লোক বূঝিয়া মিলাও
কাধের সাথে কাধ।

শুসময়ে বন্ধু অনেক
দুঃসময়ে নাই,
জীবন যৌবন শেষ করিবে
তবুও বলবে খাই।

দুঃসময়ে যেজন পাশে
খাটি বন্ধু তারে কয়,
বিপদকালে স্বার্থছাড়া
সেইতো পাশে রয়।

এমন জনে পেয়েছো কি
আমিতো পাইনি কাউকে,
জীবন তরী পার করিলাম
আপন ভেবেছি অনেককে।

স্বার্থ শেষে শুন‍্যে আমি
চাপরিয়েছি বুক একা,
হাজারো বিপদকালে
পাইনি কাহারো দেখা।

বুঝেছি তাই
স্বার্থপর সবাই,
নিজের আপন নিজে
অন‍্যকেহ নাই।

তেলে জলে মিশ যেমন
কখনো নাহি খায়,
মন্দও তেমন ভালোকে
হিংসার চোখে পায়।

গরম যেমন বর্ষায় হারায়
চরিত্রে তেমন চরিত্রে,
হাজারো রয়েছে প্রমাণ
অতিতের সেই কুরূক্ষেত্রে।

নবাব চিনেনি জাফরকে
তাই পেয়েছে মরন,
ঘসেটী জাফর হয়েও আপন
বেঈমানে চেয়েছিলো আসন।

নবাব ছিলো খামখেয়ালি
তাই পড়েছে বিপদে,
ঘষেটি হয়েও আপন
রহেনি তার আপদে।

আপন ভুমি বেশামালে
খুটি গারিতে রাজাকার,
ঐ বৃটেন থেকে পাক মিলনে
হাহাকের পর হাহাকার।

তাই মিলাও কাধ দেখে শুনে
রহিবে ধরায় সুখে,
আসিবে না কোন বিপদ
ভার রবে না বুকে।