কুমির
” রাশেদুল ইসলাম”
স্বর্ণ দিয়ে তৈরি নাকি
স্বর্ণ বাটি খানা,
মনের দুখে লিখছি আমি
করিস নে আর মানা।
সোনায় সোনায় ভরা নাকি
জ্ঞানী বলেছে তা,
তবে আজ কেনরে রক্ত খেয়ে
কুমির এগোচ্ছে পা।
স্বর্ণ বাটি কুমির ঘাটি
কুমির করছে বাস,
অসহায়ের শ্রমের গুড়ে
হচ্ছে কুমির চাষ।
যাচ্ছে দিন বাড়ছে সদা
কমছে নারে ভাই,
অসহায়ের অশ্রুজলে
গুড় পেয়েছে তাই।
হাজারো দূর্বল অত্যাচারিত
পোষিতো কুমির দ্বারা,
কুমিরের লালসায় সব অসহায়ে
আজ ভিটে মাটি ছাড়া।
ছিলো চল্লিশ হয়েছে আশি
ওজন খানা তার,
সর্ণ বাটিও হিমসিমে আজ
বহণে খোট্টার ভার।
টানছি ধরে উঠছে না ভাই
শিখর গিয়েছে দুরে,
সুখ বিলাসে আনন্দে তাই
গাইছে মধুর সুরে।
এমন ভাবে গেড়েছে সে
উঠার জোটুকু তার নাই,
সর্ণ বাটির গুড়ের রস
খেয়েও বলছে খাই।
যে আসনে বসেছে সে
আপন ভেবেছে তারে,
ঐ আসনকে দখলে রাখিতে
খুদায় কাতরকে মারে।
শেয়াল যেমন মুরগি পেলে
ভুলে যায় আমানত,
স্বর্ণ বাটির কুমিরগুলো
তেমন করছে খেয়ানত।
বিধাতাকে ভুত ভাবিয়া
পুজোর নামে চুরি,
হারাম খেয়ে আন্ধকারে
হালালে বাড়ায় ভুড়ি।
আপন লাভে চুড়িতে মত্ত
দোষ দ্যাহে সে পরে,
হাজারো নিদোর্ষে হাজত বাসি
স্বর্ণ বাটির কালভেরি ঐ ঘরে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।