“ঠাকুরগাঁও”
নিকুঞ্জ কুমার বর্মন
উত্তর পশ্চিমের সীমান্ত ঘেঁষা ছোট একটি জেলা। মাটি মানুষের কোলাহল, মাঠে সবুজের খেলা।।
টাংগন, কুলিক, তীরনই, শুক বয়ে গেছে বুক চিরে।
কাক,শালিক,দোয়েল,কোকিল বক রাতে ফিরে নীড়ে।।
মিষ্টি ফল আম, জাম, কাঁঠাল লিচু আর বরই।
রাস্তা ধারে সাল, সেগুন, মেহগনি, নিম কড়ই।।
বুড়িবাধ, টাংগন ব্যারেজ, সেনুয়ানদী ও শালবন।
মায়া মমতার পরশ মেখে রাঙিয়ে দেবে যে মন।।
টংক রাজার বাড়ি,মন্দির,মসজিদ,সূর্যাপুরি আমগাছ।
মহাকালের সাক্ষী হয়ে চিত্তের বিনোদন করছে আজ।।
বড়দিঘী, দুওসও,সাসলা পিয়ালা, কুমিল্লা হাড়ি।
বাঁশবন,কাঁশবন,মেঠোপথ বাঁকে বাঁকে ঘর বাড়ি।।
কামার-কুমোর, কৃষক-শ্রমিক, তাঁতি আর জেলে।সুখে দুঁঃখে সদাই পাশে কতশত কাজ ফেলে।।
বড়মাঠ যেন শহরের ফুসফুস বুকের।চাঁদনী রাতে কত যে গল্প হয় সুখ দুঃখের।।
বাংলার আলো, আলোর কন্ঠ, দৈনিক লোকায়ন।গণমানুষের নিত্যদিনের মনের দর্পন।।
“অপরাজেয়৭১”টাওয়ার টাংগনের তীরে।
সারাদিন মুখরিত আজ নব-প্রজন্মের ভীড়ে।।
ছায়া সুনিবিড় স্নিগ্ধশীতল এই জেলাতে যাও।
সবার আগে স্বাধীন জেলা আমার ঠাকুরগাঁও।।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।