নদী তীরে বসতি
রাকিবুল হাসান


মেঘনা নদী তার উপনদী ও শাখানদী বাহিত পলিমাটি গঠিত জন্মভূমি আমার।
বাংলা নরম পলিমাটির দেশ।
সেজন্য এখানে নদীর ভাঙ্গাগড়ার খেলা বড়াে বিচিত্র।
এক তীর ভাঙ্গে তাে আর এক তীর গড়ে।
এক তীরের মানুষ যখন ঘর-বাড়ি, জমি-জায়গা সর্বস্ব হারিয়ে নীড়হারা, অপর তীরের জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চরে তখন চাষের জমি নিয়ে ব্যস্থ কৃষক।
সােনালি ফসলের সম্ভার, নতুন নীড় গড়ার স্বপ্ন।
নদীর এই ভাঙ্গা গড়ার সঙ্গে নীড়হারা মানুষের ঠিকানা বদলায়।
নতুন করে শুরু হয় বাঁচার লড়াই।
তেমনি এক বৈচিত্র্যময় দ্বীপ ভোলার মনপুরা
চতুর মুখী মেঘনা বিস্তীর্ণ তীরবর্তী অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের ভাগ্যের ঠিকুজি হল এই।
জীবনে সংগ্রাম করে বেছে তাকার আকুতি নদীর পারের হাজারো বসতির।
সকলে সম্বলহীন হয়ে নদীর তীরে করছে বসতি।অনেকে তাকিয়ে থাকে মেঘনার দক্ষিণ কিংবা উত্তরে বাতাসে আসে নি কোন বোলক নামক শব্দ।
কখন বলবে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন বা ঊর্ধ্বতন  কর্মকর্তা স্বস্তিতে বসবাস করতে পারবে নদীর তীরে।
এমন সুর শোনার জন্য জন্য অপেক্ষা আছে হাজারো বসতির।