কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার মান বাড়াতে গবেষণার উপর জোর দেয়ার কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সপ্তম ও বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. অধ্যাপক এ এফ এম আবদুল মঈন। যা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু।

কেউ যখন নিজের গবেষণা বা লেখার মধ্যে অন্যের গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য বা ফলাফলকে ব্যবহার করে তখন স্বীকৃতিস্বরুপ তার উৎস উল্লেখ করাই হলো সাইটেশন। গবেষনাপত্রে সাইটেশনের সংখ্যা নিয়মিত প্রকাশ করে গুগল স্কলার।

গুগল স্কলারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের মধ্যে ১০০ টির বেশি সাইটেশন সংখ্যা আছে ১৬ জনের। এই সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। তার সাইটেশন সংখ্যা ৮২৩ টি।

এছাড়াও ৫৯৯ সংখ্যক সাইটেশন নিয়ে কুবিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন। ৪১৪ সংখ্যক সাইটেশন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার। যৌথভাবে চতুর্থ অবস্থানে আছেন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার ও সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পার্থ চক্রবর্তী। তাদের সাইটেশন সংখ্যা ২২২টি।

এছাড়াও মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মানের ২০৫টি, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের ২০০টি এবং কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাছানের ১৮৬টি সাইটেশন গুগল স্কলারে প্রদর্শন করছে।

১ম অবস্থানে থাকা কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, সাইটেশনের মাধ্যমে মূলত কোন গবেষণাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। একজন শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে এটা আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। এই সাইটেশন আমার গবেষনার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

২য় অবস্থানে থাকা ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সাইটেশন মূলত গবেষকদের কাজের স্বীকৃতি। এটা দিয়ে আমাদের প্রকাশিত গবেষণা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝায়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো এই সংখ্যক গবেষণা নিয়ে আমি দ্বিতীয় অবস্থানে আছি। এতেই আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনও কারন নেই। আমরা আরও ভালো করতে পারলে সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিংও বাড়বে।’

এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, যারা গবেষণা করে তাদের একটা ভাল প্রোফাইল তৈরি হয়। এতে তিনি নিজেও উপকৃত হন, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়েরও র‍্যাংকিং বৃদ্ধি পায়।

তিনি আরও বলেন, যত বেশি সাইটেশন করা হয় এতে রিপোর্টের কোয়ালিটি ও ইম্প্যাক্ট ভাল যে তা প্রমাণিত হয়। হাই র‍্যাংকড জার্নালে লিখলে সাইটেশন বাড়ে। যেগুলো আনর‍্যাংকড জার্নালে পাবলিশ করা হয় সেগুলোর সাইটেশন তেমন হয়না। কারন কেউ সেগুলো গ্রহণ করেনা। কেউ যেন প্রেডিটরি ও আনর‍্যাংকড জার্নালে পাবলিশ না করে। তাই আমি সবাইকে বলবো সবাই যেন র‍্যাংকড জার্নালে পাবলিশ করে।