ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আইয়ুব আলীর অফিস ভাংচুরের ঘটনায় অস্থায়ী চাকুরীজীবি পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান ইবি থানায় এ মামলা করেছেন। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইবি থানা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এতে পরিষদের সভাপতি টিটু মিজান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দ্দারসহ অজ্ঞাত পরিচিত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তথ্য সূত্রে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর চাকরিপ্রত্যাশী অস্থায়ী পরিষদের নেতা টিটু মিজান ও রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন আই্য়ুব আলীর অফিসে ভাংচুর করেন ও ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
এ ঘটনায় গত রোববার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ভিসির পিএস আইয়ূব আলী ও মনিরুজ্জামান মোল্লা। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার মামলা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার।
এছাড়া ঘটনাটি তদন্তে প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচসদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীন, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষের পিএস-২ জাহিদুল ইসলাম।
এদিকে ভাংচুরের পরের দু’দিন ক্যাম্পাসে শোডাউন ও স্লোগান দিতে দেখা যায় চাকরির দাবিতে আন্দোলনরত অভিযুক্ত অস্থায়ী পরিষদের নেতাকর্মীদের।
এ সময় ভিসির পিএস আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে বিএনপি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি করেন তারা। একই সাথে দাবি মেনে না নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ বোর্ড হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
অভিযুক্তরা ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ভিসির পিএস আইয়ুব আলী তাদের ফাইল আটকে রাখার কারণে তার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন তারা।
মামলা বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন-নূর জায়েদ বিপ্লব বলেন, মামলার পর বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।