কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হলগুলো সিলগালা মুক্ত করা হয়েছে। রবিবার ( ৯ অক্টোবর) বেলা ১২ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হলই সিলগালা মুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হল প্রশাসন হলের শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। যাদের পরিচয়পত্র কিংবা আবাসিকতা নেই তাদেরকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সাময়িক পরিচয়পত্র প্রদান করে হলে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাইদুল আলম বলেন, হল যখন সিলগালা করা হচ্ছিল তখন আমরা শঙ্কায় ছিলাম কবে আবার হল খোলা হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে সাধুবাদ জানাই। হলে প্রবেশের জন্য প্রশাসন যে পদ্ধতি অবলম্বন করছে আশা করি এতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টা আরোও জোরদার হবে।
এ ব্যাপারে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে আমরা হল সিলগালা করেছিলাম। উপচার্য মহোদয়ের সিদ্ধান্তে আজ ১২ টায় আমরা হলগুলো সিলগালা মুক্ত করি। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। যাদের আবাসিকতা নেই তাদের সাময়িক পরিচয়পত্র প্রদান করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই উদ্যোগটি নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার কথা চিম্তা করেই হলের শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরিচয়পত্র প্রদানের মাধ্যমে হলে প্রবেশ করাচ্ছি। তাছাড়া হলে যারা থাকে তাদের প্রত্যেককে আবাসিকতার আওতায় নিয়ে আসার জন্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে উপাচার্য মহোদয়ের নির্দেশে। ভবিষ্যতে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সে চেষ্টাই করছে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলগুলো সিলগালা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।