আর এম রিফাত, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফার্মেসি বিভাগে ল্যাবের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
শিডিউলে আখতার গ্রুপের নিজস্ব পন্য ব্যবহারের কথা থাকলেও নিম্নমানের ল্যামিনেশন বোর্ড ও আঠা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আখতার গ্রুপের পণ্য দিয়ে ল্যাবটির কাজ করার কথা থাকলেও ল্যাবের কাজে ব্যবহৃত ল্যামিনেশন বোর্ড ও অন্যান্য সামগ্রীগুলোতে আখতার ফার্নিচারের কোনো নির্দিষ্ট লগো বা স্টিাকার পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও বোর্ডের এডজাস্টমেন্টের কাজে ব্যবহৃত আঠা গুলোও নিম্নমানের বলে জানা গেছে। ল্যাবের কাজ সম্পাদন আখতার গ্রুপের নির্দিষ্ট কর্মীদের দ্বারা করার কথা থাকলেও কুষ্টিয়ার লোকাল মিস্ত্রি দ্বারা কাজটি করানো হয়েছে।
জানা গেছে, টেন্ডারের মাধ্যমে আখতার গ্রুপের ল্যাবটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ দেওয়া হয়। একইসাথে শিডিউলে তাদের গ্রুপের নিজস্ব পণ্য ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি শিডিউল অমান্য করে ল্যাবে নিম্নমানের গ্রুপ ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অর্ঘ্য প্রসূন সরকার বলেন, বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন সরাসরি টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি করছে। এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে পরে আমি জানতে পারলাম লোকাল পণ্য দিয়ে কাজটি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সি সহিদ উদ্দীন তারেক মুঠোফোনে বলেন, আখতার গ্রুপের সাথে কাজটির ব্যাপারে চুক্তি হয়েছিলো।
কিন্তু শিডিউল অনুযায়ী ল্যাবের কাজ করতে গেলে বাজেটের চেয়ে বেশী খরচ হবে। তাছাড়া জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা লোকাল পণ্য ব্যবহার করছে।
এদিকে পরে তার সাথে সাক্ষাতে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কাজের শিডিউল অনুযায়ী আখতার ফার্নিচারের নিজস্ব পণ্য দিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।