রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমদিকে অবস্থিত ইবলিশ চত্ত্বর। অনেকেই জানেন না এই নামকরণের আসল ইতিহাস। অনেকেই আবার এই নামকরণের পেছনে রাজনীতিকরণের চেষ্টা চালান।
তবে এই নামকরণের আসল ইতিহাসটা ভিন্ন। বিখ্যাত নাট্যকার মামুনুর রশীদের রচনা এবং পরিচালনায় ১৯৮১ সালে ইবলিশ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। ১৯৮১ সালের পর থেকে অনেক জায়গায় এই নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালে এই মাঠে “ইবলিশ” নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়। সেই থেকে এই চত্ত্বরের নামকরণ করা হয় “ইবলিশ চত্ত্বর”। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইবলিশ চত্ত্বরের নাম পরিবর্তন করে শেখ রাসেল চত্ত্বর করা হয়। এই স্থানটির অবস্থান সবুজ নগরী রাজশাহীতে। বাংলাদেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জনপ্রিয় আড্ডাস্থল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চিরসবুজ এ চত্বর আড্ডাবাজ শিক্ষার্থীদের তীর্থস্থান যেন।
ই ইবলিশ চত্বর এমন একটি জায়গায় যেখানে রাত ১০টার পরে স্বয়ং ইবলিশ শয়তানেরও গা ছমছম করবে। দিনের বেলা আধুনিক যুগের রোমিও-জুলিয়েটদের দখলে থাকে এই চত্বর। ইবলিশ তবে এ ক্যাম্পাসে টুকিটাকি চত্বর, আম চত্বর, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বর, সিনেট ভবন চত্বর, রাকসু ভবন চত্বর, মিলনায়তন চত্বর, লিচুতলা, পশ্চিম পাড়া, জুবেরী মাঠ, শহীদুল্লাহ্ ও মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের সামনে, রবীন্দ্র ভবনের সামনে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সামনে, শহীদ মিনার, সাবাস বাংলাদেশ মাঠ, হবিবুর রহমান মাঠ, স্টেডিয়ামের পার্শ্ববর্তী স্থানগুলোতে, টিএসসিসিসহ আড্ডার সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে। কিন্তু আড্ডার জন্য ইবলিশ চত্বরের থেকে জনপ্রিয় আর কোনোটিই নয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।