সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের সঠিক সময়ে না আসা, ক্লাস বন্ধ রেখে একজন আরেকজনকে দিয়ে বেণি করানো ও উকুন বাছানোসহ নানা অনিয়ম এবং পাঠদানে অবহেলার ঘটনায় উপজেলার সব সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আলমগীর মোহাম্মাদ মনছুরুল আলম এ বদলির আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (১১ এপ্রিল) নানা অনিয়মের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষকসহ মোট ১০ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল মাহমুদ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মণ্ডল জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল আলীম স্বাক্ষরিতি একটি চিঠিতে সাত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে চিঠিটি আমাদের দপ্তরে এসে পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, উল্লাপাড়ায় ২৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এখানে সাতজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্মরত ছিলেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আল মাহমুদ শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গত ৭ ও ৯ এপ্রিল উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. উজ্জ্বল হোসেন কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন সকাল ১০টার পরও অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত, উপজেলার রানীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষিকা অপর এক শিক্ষিকার চুলের বেণি বেঁধে দিচ্ছেন, আরেক স্কুলে এক শিক্ষিকা আরেকজনের মাথার উকুন বেছে দিচ্ছেন। এছাড়া অনেক শিক্ষক মাছ কিনে স্কুলেই কোটাবাছা করেন বলে স্থানীয়রা তার কাছে অভিযোগও করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।