প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে দিয়ে এক পায়ে যুদ্ধ জয় করে চলা তামান্না আক্তার নুরা এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছে। পায়ে লিখে এর আগে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতেও তামান্না একই ফলাফলের ধারা অব্যাহত রেখেছিল।
তামান্নার স্বপ্ন এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিসিএস ক্যাডার ও গবেষক হওয়া। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করলে তামান্না এই ফলাফল নিশ্চিত করেছে।
সে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। অদম্য এই মেধাবী তামান্নার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে। তামান্নার এক পা-ই সম্বল। জন্ম থেকেই তার দুটি হাত ও একটি পা নেই। জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করে চলেছে তামান্না। তামান্নার বাবার নাম রওশন আলী। মায়ের নাম খাদিজা পারভীন শিল্পী। বাবা স্থানীয় ছোট পোদাউলিয়া দাখিল মাদরাসার (নন এমপিও) বিএসসির শিক্ষক। মা গৃহিণী। তিন সন্তানের মধ্যে তামান্না সবার বড়। এইচএসসি’র ফলাফলে খুশি তামান্না জানায়, সে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাধর্মী কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা তার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।