বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী তথা ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উদযাপিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, “বর্তমানে বিভিন্ন প্রেক্ষিতে মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করার সময় কোন মানবাধিকার সংগঠন এগিয়ে আসে নি; এমনকি পরবর্তীতে তারা এ বিষয়ে প্রতিবাদও করেনি। স্বাধীনতা পক্ষের শক্তির জন্য সবসময় কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সদা সচেষ্ট রয়েছেন। আজ শেখ রাসেলের জন্মদিন। তাঁর অকাল মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। ”

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ৭৫’ পরবর্তী হতে ৯৫’ পর্যন্ত বাংলাদেশের তেমনি কোন উন্নয়ন ঘটেনি, যেমনি ঘটেছে বর্তমান সরকারের সময়ে। দেশের জন্য স্বাধীনতা এনে বঙ্গবন্ধু কখনও আয়েশি ও দম্ভের জীবন যাপন করেন নি। তিনি তাঁর সন্তানদের সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত করতে চেয়েছিলেন।”

অনুষ্ঠানে এছাড়াও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান, লাই এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান খন্দকার, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মোঃ লুৎফর রহমান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোঃ জহুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কাদের, কর্মচারী সমিতির সভাপতি এরশাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এবং সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ বক্তব্য প্রদান করেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সকলের জন্য দোয়া করা হয়।
রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান-এর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ ইব্রাহীম খলিল। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আলোচনা সভা শেষে  শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কেক কাটা হয়।