আবারও আলোচনায় বিতর্কিত গায়ক মঈনুল আহসান নোবেল। তার স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল তাকে ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু এই নিয়ে কোনো খারাপলাগা নেই নোবেলের, বরং ‘স্বস্তি’ প্রকাশ করেছেন তিনি। ডিভোর্সের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সালসাবিলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের ঝুড়ি নিয়ে হাজির নোবেল।
তিনি বলেন, ও (সালসাবিল) চলে যাচ্ছে আমি আমার জীবন নতুন করে সাজাবো। ওর চেয়ে সুন্দরী ও ভালো মেয়ে বিয়ে করবো। এমপি মন্ত্রীর মেয়ে আমাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত। নোবেল বলেন, আমাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে সালসাবিল। আমার ক্যারিয়ারের ধ্বংস করতে একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেছে সে। সব সময় আমাকে মানসিক যন্ত্রণায় রেখেছে, যাতে আমি গান গাইতে না পারি। কনসার্ট করতে না পারি।
ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি বলে ছাড়তে পারিনি। সে এবার আমাকে তালাকানামা পাঠিয়েছে, আমি পেয়েছি। কিন্তু স্বাক্ষর করব না। তিনমাস পর এটা এমনি এমনিই কার্যকর হয়ে যাবে।’ ডিভোর্স লেটারে নোবেলের বিরুদ্ধে মানসিক অসুস্থতা, মাদকাসক্তি এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন সালসাবিল। তবে স্ত্রীর এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গায়ক। তিনি বলেন, ‘সে মিথ্যাবাদী। ওর বিষয়ে আমি আর মাথা ঘামাতে চাই না।
সে টাকার বিনিময়ে আমাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে আমার জীবনে এসেছে। ’ এদিকে স্ত্রীর দাবি, নোবেল মানসিকভাবে চরম অসুস্থ, চরম মাদকাসক্ত, নারীর নেশা রয়েছে। তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন- এসবের প্রমাণও তার কাছে রয়েছে। মাইনুল হাসান নোবেল। শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্ক তৈরি করে গেছেন। কলকাতার জি বাংলার সারেগামাপা রিয়ালিটি শোর মাধ্যমে আলোচনায় আসেন।
কিন্তু আলোচনার শুরু থেকে যেমন দুই বাংলার পছন্দের তালিকায় ছিলেন, তেমনি একটা শ্রেণি তার নানা সময়ের ‘আচরণে’ অসন্তোষ প্রকাশ করে। এসব বিতর্কের বাইরে গিয়ে নোবেল সালসাবিল মাহমুদকে ২০১৯ সালে বিয়ে করেন। প্রায় সাত মাস বিয়ের কথা গোপন থাকলেও পরে তা আর গোপন থাকেনি। ২০২০ সালের মে মাসে নোবেল ও সালসাবিলের বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।