মাদক মামলায় গ্রেফতার ‘কথিত মডেল’ মরিয়ম আক্তার মৌকে এক বছরের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান। গত ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে প্রথমে রাজধানীর বারিধারায় মডেল পিয়াসার বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।
পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে পিয়াসার দেওয়া তথ্যে আরেক মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ-এর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। তার বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ১টার দিকে মৌকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকেও ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এরপর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করা হয়। দুই মডেলকে আটকের পর এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ জানান, মডেল পিয়াসা ও মৌ সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তারা পার্টির নামে উচ্চবিত্তদের বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন। পরে সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল।
ডিবির এই কর্মকর্তা সেদিন বলেন, আটক দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রানি। তারা দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করতেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপ গত ১৩ আগস্ট মাদকসহ গ্রেফতার
মরিয়ম আক্তার মৌকে তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর মৌ ফের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানায়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হামায়ুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।