আত্মজীবনীতে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, এক পরিচালক, প্রযোজকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল তার। কিছুক্ষণ কথা বলার পর পরিচালক অভিনেত্রীকে হেঁটে দেখাতে বলেন। প্রিয়াঙ্কা সেটা করলে পরিচালক তাকে শারীরিক গঠন নিয়ে নানান কথা বলতে থাকেন। প্রিয়াঙ্কাকে স্তন সার্জারি করার কথা বলেছিলেন ওই পরিচালক। ওই পরিচালকের যুক্তিতে সিনেমায় স্তনের মাপ নাকি প্রয়োজনীয়।
শুধু তাই নয়, প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ওই পরিচালক তাকে চোয়াল ও নিতম্বেও সার্জারি করানোর কথা বলেছিলেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ওই পরিচালকের কথায় সেদিন তিনি ভীষণই অস্বস্তির মধ্যে পরেছিলেন তিনি, বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তবে আশ্বর্যের বিষয় প্রিয়াঙ্কার ম্যানেজারও পরিচালকের কথায় সায় দিয়েছিলেন।
প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ওই পরিচালক তাকে সাফ জানিয়েছিলেন, শরীরে সার্জারি করানো ছাড়া তিনি সাফল্য পাবেন না। অভিনেত্রী লিখেছেন, ওইদিন ইন্ডাস্ট্রি তাকে শ্যামবর্ণা এবং অন্যরকম দেখতে হওয়ার তকমা লাগিয়েছিল। সেদিন প্রিয়াঙ্কারও মনে হয়েছিল, ”আমি কি এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবো? ” তবে ওই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর পরিবার তাঁর পাশে ছিল বলে লিখেছেন প্রিয়াঙ্কা।
এখানেই শেষ নয়, প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, পরিচালক তাকে বলেছিলেন স্টাইলিশের সঙ্গে কথা বলতে। এখানেই শেষ নয়, তাকে বলা হয়েছিল, চাঁদের মতো দেখতে হওয়া উচিত। নাহলে লোক কেন সিনেমা দেখতে আসবে? এমনকি ওই পরিচালকের কথায়, ”যাই হোক না কেন নায়িকার প্যান্টি দেখা না গেলে লোক সিনেমা দেখবে না।” প্রিয়াঙ্কার অস্বস্তি দেখে ওই দিন সলমন খান পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন বলে লিখেছেন নায়িকা।
এখানেই শেষ নয়, আত্মজীবনীতে প্রিয়াঙ্কা আরও লিখেছেন, হাইস্কুলে পড়ার সময় তাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়। ১৬ বছর বয়সে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে চলে গিয়েছিলেন, সেখানকার স্কুলে তাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে পড়ার স্মৃতি প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, সেসময় বব বলে তার একজন প্রেমিক ছিল, যার সঙ্গে একদিন তিনি বাড়িতে হাত ধরে বসে সিনেমা দেখছিলেন। প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ”তখন দুপুর ২ বাজে, হঠাৎ আমার মাসি চলে আসে”, তখন অভিনেত্রী কী করবেন বুঝতে না পেরে প্রেমিককে আলমারির মধ্যে লুকিয়ে ফেলেছিলেন।
প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, নিক যখন তাকে প্রথম মেসেজ পাঠায় তখন তার বয়স ৩৫। অভিনেত্রী তখন বিয়ে করতে, সন্তানের মা হতে প্রস্তুত। তবে নিকের বয়স তখন মাত্র ২০। তাই প্রিয়াঙ্কার আশঙ্কা ছিল, নিক তাতে আদৌ রাজি হবেন কিনা।
মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা জেতা প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ”তখন আমার বয়স মাত্র ১৭, আমি কোনও মডেল বা অভিনেতার পরিবার থেকেও আসিনি, তাই প্রতিযোগিতার সেই উন্মাদনার মধ্যে আমি সবসময় মাথা উঁচু রাখার চেষ্টা করেছিলাম।”
জীবন কখন তার ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েছিল? সে প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা জানান, তার বাবা অশোক চোপড়ার মৃত্যুর সময়। নিজেকে সেসময় ভীষণই অসহায় মনে হয়েছিল বলে লিখেছেন পিগি চপস।
সুত্র-জি-নিউজ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।