ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলার সংগীতবিষয়ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান সারেগামাপা। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিযোগী মাঈনুল আহসান নোবেল লড়াই করেছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। বাংলাদেশের মানুষের কাছে সারেগামাপা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল নোবেলের কারণেই।
নানা কারণেই নোবেল বিতর্কিত হয়ে ওঠেন। নিজের ভক্তদেরও ত্যাক্ত বিরক্ত করে ফেলেন এই তরুণ। এরইমাঝে বিয়েও করেন নোবেল। সবশেষে জানালেন তিনি বাবা হতে যাচ্ছেন। মাইনুল হাসান নোবেল। শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্ক তৈরি করে গেছেন।
কলকাতার জি বাংলার সারেগামাপা রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। কিন্তু আলচনার শুরু থেকে যেমন দুই বাংলার পছন্দের তালিকায় ছিলেন তেমনি একটা শ্রেণী তার নানা সময়ের ‘আচরণে’ অসন্তোষ প্রকাশ করে। সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নোবেল লেখেন— ‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।’
এই পোস্ট দেখে অনেকে শুভ কামনা জানলেও ভেসে আসে বিদ্রুপের তিরও। আসলে নেটিজেনরা আপত্তি তোলেন গায়কের ‘হয়তো’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে। কেউ নোংরা প্রসঙ্গ টেনেছেন তো কেউ আবার মজা করে তিরস্কার করেছেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘হয়তো কেন? আপনি কি শিওর নন’? ফারিহা মাইমুনা নামের মহিলার প্রোফাইল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে- ‘আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু হয়তো আবার কী? নিজের ওপর নিজের কনফিডেন্স নেই!’ সিয়াম নাসির নামে এক নেটিজেন লিখেছেন—
‘ভাই যা করেছ তো করেছই, এখন বাচ্চাটার দিকে তাকাইয়া ভালো হয়ে যাও। যেন বাচ্চা তোমারে নিয়া প্রাউড করতে পারে।’ নোবেল এ প্রজন্মের তরুণ গায়ক। জি বাংলার রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’তে অংশ নিয়ে দুই বাংলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি।
প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনালে উঠে আসেন তিনি। এ পর্যন্ত দুটি মৌলিক গান গেয়েছেন নোবেল। তবে ফেসবুকে বিতর্কিত কিছু স্ট্যাটাস দিয়ে মাঝেমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েন নোবেল এবং পরে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য দেন। নোবেল বিয়ে করেন সালসাবিল মাহমুদকে। অনেকটা গোপনেই সারেন এই বিয়ে। সোমবার দিলেন বাবা হওয়ার ঘোষণা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।